ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের পাঁচটি মামলা ছাড়াও মানহানির অভিযোগে করা একটি মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) পৃথক এসব মামলা বাতিল করেন আদালত। ::: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।

বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে এ আর রহমান-সায়রার

বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২৯ বছরের বিবাহিত জীবনে এবার ইতি টানতে চলেছেন এ আর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু। বিবাহবিচ্ছেদের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। রহমান এবং সায়রার আইনজীবী একটি বিবৃতি জারি করে এমনটাই জানিয়েছেন। কিন্তু কেন এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত? রহমানের স্ত্রীর দাবি, এই সম্পর্কের মধ্যে নানা যন্ত্রণা সইতে হচ্ছিল। যা তাঁর পক্ষে সয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। সেই কারণেই বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা।

প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিয়ের এত বছর পর, সায়রা তাঁর স্বামী এ আর রহমানের থেকে আলাদা হওয়ার কঠিন সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন। একের পর এক পরিস্থিতির জেরে মানসিক অবস্থার অবনতির পর এই সিদ্ধান্ত। একে অপরের প্রতি দীর্ঘদিনের গভীর ভালবাসা সত্ত্বেও, বেশ কিছু কারণে তাঁদের মধ্যে অপ্রতিরোধ্য ব্যবধান তৈরি হয়েছিল। কোনও পক্ষই এই সময়ে এই ব্যবধান মেটাতে সক্ষম হচ্ছিলেন না।’ বিবৃতির মাধ্যমে সায়রা অনুরোধ করেছেন, এই কঠিন সময়ে তাঁদের এই সিদ্ধান্ত যেন ব্যক্তিগত স্তরেই থাকতে দেওয়া হয়।

বিবৃতি অনুযায়ী, দম্পতির আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত হঠাৎ নয়। অনেকদিন ধরেই পরিস্থিতি কঠিন হওয়ায় চিন্তাভাবনা চলছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন সায়রা। এই সম্পর্ক আর টানা সম্ভব নয় বলেও বিবৃতি মারফত জানিয়েছেন সায়রা।

রহমানের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই তাঁকে দেখা যেত। শুধু তাই নয়, আম্বানি পরিবারের অনুষ্ঠানে তাঁরা একসঙ্গে এসেছিলেন। সেখানেও তাঁদেরকে দেখে বিন্দুমাত্র বোঝা সম্ভব হয়নি যে তারা আলাদা হতে চলেছেন। সায়রার আইনজীবী বন্দনা শাহ কিছু কিছু কারণের উল্লেখ করেছেন এই বিচ্ছেদের প্রসঙ্গে।

তিনি নিজে জানিয়েছেন, রহমান এবং তাঁর স্ত্রী বেশ কিছুদিন হল সম্পর্কে ইমোশনাল স্ট্রেন অনুভব করছিলেন। যা তাদের মন এবং মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়েছে, এবং তাঁদের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট কারণেই যে তাঁদের মধ্যে ভালবাসার একটা বিরাট খামতি কিংবা ফাঁকের সৃষ্টি হয়েছিল, সেটাই উল্লেখ করেছেন তিনি।

আর, এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “তাঁদের দুজনের মধ্যে যে গভীর ভালবাসা ছিল, কিংবা ভীষণ প্রেম ছিল তাঁর পরেও নানা কারণে কিছু দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিছু দুশ্চিন্তা, কিছু মন খারাপের ঘটনা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে দুই পক্ষের কেউই, এই নিয়ে আর নিজেদের মধ্যে সেতু বানিয়ে রাখতে রাজি নয়। সায়ারার এখন একটু ব্যক্তিগত সময় চাই। আশা করছি আপনারা রহমান এবং সায়রা দুজনকেই সেই সময়টা দেবেন।”

যদিও এই প্রসঙ্গে রহমান নিজে কিছু জানাননি। তাঁর সমাজ মাধ্যমে এই নিয়ে কোনও পোস্ট নেই। তবে, নিজেদের এই ভীষণ কঠিন সময় তাঁরা একা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিন সন্তানের বাবা মা তাঁরা। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু বছর আগে। কিন্তু, জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে যে সায়রা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সেকথাও জানা যাচ্ছে।

১৯৯৫ সালে বিয়ে করেন এ আর রহমান এবং সায়রা বানুর। দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে- খাতিজা, রহিমা, আমিন। সংগীতশিল্পী জানিয়েছিলেন,পাত্রী দেখেছিলেন তাঁর মা। দু-জনের মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্য ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা সম্পর্ক ধরে রেখেছিলেন। সিমি গ্রেওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রহমান বলেছিলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমার পাত্রী খোঁজার সময় ছিল না। আমার মনে হয়েছিল যে এটাই আমার বিয়ে করার উপযুক্ত সময়। আমার বয়স ২৯ বছর ছিল। মাকে বলেছিলাম,’আমার জন্য পাত্রী খুঁজে দাও।’

নিউজটি শেয়ার করুন

বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে এ আর রহমান-সায়রার

আপডেট সময় : ০১:০৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

২৯ বছরের বিবাহিত জীবনে এবার ইতি টানতে চলেছেন এ আর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু। বিবাহবিচ্ছেদের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। রহমান এবং সায়রার আইনজীবী একটি বিবৃতি জারি করে এমনটাই জানিয়েছেন। কিন্তু কেন এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত? রহমানের স্ত্রীর দাবি, এই সম্পর্কের মধ্যে নানা যন্ত্রণা সইতে হচ্ছিল। যা তাঁর পক্ষে সয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। সেই কারণেই বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা।

প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিয়ের এত বছর পর, সায়রা তাঁর স্বামী এ আর রহমানের থেকে আলাদা হওয়ার কঠিন সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন। একের পর এক পরিস্থিতির জেরে মানসিক অবস্থার অবনতির পর এই সিদ্ধান্ত। একে অপরের প্রতি দীর্ঘদিনের গভীর ভালবাসা সত্ত্বেও, বেশ কিছু কারণে তাঁদের মধ্যে অপ্রতিরোধ্য ব্যবধান তৈরি হয়েছিল। কোনও পক্ষই এই সময়ে এই ব্যবধান মেটাতে সক্ষম হচ্ছিলেন না।’ বিবৃতির মাধ্যমে সায়রা অনুরোধ করেছেন, এই কঠিন সময়ে তাঁদের এই সিদ্ধান্ত যেন ব্যক্তিগত স্তরেই থাকতে দেওয়া হয়।

বিবৃতি অনুযায়ী, দম্পতির আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত হঠাৎ নয়। অনেকদিন ধরেই পরিস্থিতি কঠিন হওয়ায় চিন্তাভাবনা চলছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন সায়রা। এই সম্পর্ক আর টানা সম্ভব নয় বলেও বিবৃতি মারফত জানিয়েছেন সায়রা।

রহমানের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই তাঁকে দেখা যেত। শুধু তাই নয়, আম্বানি পরিবারের অনুষ্ঠানে তাঁরা একসঙ্গে এসেছিলেন। সেখানেও তাঁদেরকে দেখে বিন্দুমাত্র বোঝা সম্ভব হয়নি যে তারা আলাদা হতে চলেছেন। সায়রার আইনজীবী বন্দনা শাহ কিছু কিছু কারণের উল্লেখ করেছেন এই বিচ্ছেদের প্রসঙ্গে।

তিনি নিজে জানিয়েছেন, রহমান এবং তাঁর স্ত্রী বেশ কিছুদিন হল সম্পর্কে ইমোশনাল স্ট্রেন অনুভব করছিলেন। যা তাদের মন এবং মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়েছে, এবং তাঁদের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট কারণেই যে তাঁদের মধ্যে ভালবাসার একটা বিরাট খামতি কিংবা ফাঁকের সৃষ্টি হয়েছিল, সেটাই উল্লেখ করেছেন তিনি।

আর, এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “তাঁদের দুজনের মধ্যে যে গভীর ভালবাসা ছিল, কিংবা ভীষণ প্রেম ছিল তাঁর পরেও নানা কারণে কিছু দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিছু দুশ্চিন্তা, কিছু মন খারাপের ঘটনা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে দুই পক্ষের কেউই, এই নিয়ে আর নিজেদের মধ্যে সেতু বানিয়ে রাখতে রাজি নয়। সায়ারার এখন একটু ব্যক্তিগত সময় চাই। আশা করছি আপনারা রহমান এবং সায়রা দুজনকেই সেই সময়টা দেবেন।”

যদিও এই প্রসঙ্গে রহমান নিজে কিছু জানাননি। তাঁর সমাজ মাধ্যমে এই নিয়ে কোনও পোস্ট নেই। তবে, নিজেদের এই ভীষণ কঠিন সময় তাঁরা একা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিন সন্তানের বাবা মা তাঁরা। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু বছর আগে। কিন্তু, জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে যে সায়রা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সেকথাও জানা যাচ্ছে।

১৯৯৫ সালে বিয়ে করেন এ আর রহমান এবং সায়রা বানুর। দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে- খাতিজা, রহিমা, আমিন। সংগীতশিল্পী জানিয়েছিলেন,পাত্রী দেখেছিলেন তাঁর মা। দু-জনের মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্য ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা সম্পর্ক ধরে রেখেছিলেন। সিমি গ্রেওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রহমান বলেছিলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমার পাত্রী খোঁজার সময় ছিল না। আমার মনে হয়েছিল যে এটাই আমার বিয়ে করার উপযুক্ত সময়। আমার বয়স ২৯ বছর ছিল। মাকে বলেছিলাম,’আমার জন্য পাত্রী খুঁজে দাও।’