জাতিগত সহিংসতায় দিন দিন আগ্নেয়গিরি হয়ে উঠছে ভারতের রাজ্য মণিপুর। গত দুই সপ্তাহের উত্তেজনায় মারা গেছে অন্তত ২০জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। দফায় দফায় বৈঠক করছে রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী বিরেন সিং।
গত দেড় বছর ধরে ভয়াবহ জাতিগত সহিংসতার কবলে ভারতের মনিপুর রাজ্য। তবে সহিংসতা নতুন রূপ নিয়েছে গত ৭ই নভেম্বর। সেদিন নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে মারা যায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ১০ কুকি বিদ্রোহী। এই ঘটনার জেরে পরপর দুইদিনে নদী থেকে উদ্ধার হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতে সম্প্রদায়ের আট জনের মরদেহ। এসব ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর গত শনিবার থেকে প্রতিবাদে উত্তাল মণিপুরবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে রেখেছে মেইতে সম্প্রদায়।
প্রাদেশিক রাজধানী ইম্ফলসহ কয়েক জেলায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, এমনকি কারফিউ দিয়েও আন্দোলন দমাতে পারেনি প্রশাসন। নিরাপত্তা বাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে চলছে সংঘাত, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর। পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপত্তা বাহিনীকে স্বাধীনভাবে কাজের অনুমতি দেয়া হয়েছে। রাজ্যজুড়ে মোতায়েন রয়েছে আধাসামরিক বাহিনীর প্রায় এক লক্ষ সদস্য।