খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমালো এনবিআর
- আপডেট সময় : ১০:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ও অগ্রিম আয়কর হ্রাস এবং আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার রাতে এনবিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এনবিআর মনে করছে, কর হ্রাসের ফলে মানভেদে প্রতি কেজি খেজুরের আমদানি ব্যয় প্রায় ৬০ টাকা হতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে। এতে খেজুরের আমদানি ও বাজারে এর সরবরাহ বাড়বে এবং দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের বাজার মূল্য সর্বসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার আমদানিনির্ভর খাদ্য পণ্যের শুল্ক-কর হ্রাস এবং ক্ষেত্র বিশেষে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে। খেজুর একটি আমদানি নির্ভর ফল যা সকল শ্রেণীর মানুষের ইফতারের অপরিহার্য উপাদান। পবিত্র রমজান মাসে খেজুরকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এর ওপর বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ এবং বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট করভার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশ নির্ধারণ করে ২টি প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়েছে।
ডলার সংকট, এলসি জটিলতা আর উচ্চ শুল্কহারের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে খেজুরের আমদানি গত বছরের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে আগামী রমজানে পণ্যটির ঘাটতি হতে পারে বলে আশঙ্কা কথা জানিয়ে আসছিলেন আমদানিকারকেরা।
চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র বলছে, এই অর্থবছরের নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২৩ হাজার ৬৩৯ টন খেজুর আমদানির অনুমতি চেয়েছেন আমদানিকারকেরা। এরইমধ্যে আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৮৩৭ টন। গত বছর একই সময়ে আনা হয়েছিল সাড়ে ৪ হাজার টনের বেশি খেজুর।
আমদানিকারকরা বলছেন, আগে প্রতি কন্টেইনার খেজুরে দুই থেকে তিন লাখ টাকা শুল্ক দিতে হতো। কিন্তু ২০২৩ সাল থেকে কেজিপ্রতি খেজুরে আড়াই থেকে চার ডলার পর্যন্ত শুল্ক গুনতে হচ্ছে। এতে প্রতি কন্টেইনারে শুল্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা। এ কারণে আমদানিতে আগ্রহ হারিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশে বছরে খেজুরের চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে রমজান মাসে।