হামলা থেকে বাঁচতে ভ্রাম্যমাণ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করছে রাশিয়া
- আপডেট সময় : ০১:০৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে
পারমাণবিক বোমা হামলা থেকে নিজেদের সুরক্ষা দেবে এমন ভ্রাম্যমাণ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেছে রাশিয়া। এসব আশ্রয় কেন্দ্র যে কোনো শক্তিশালী বিস্ফোরণ ও প্রচলিত অস্ত্রের আঘাত, ভবন থেকে নেমে আসা ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া এবং বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্য ও অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। তবে আশ্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরুর সঙ্গে বর্তমান সংকটের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে দেশটিকে দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। বাইডেনের এ সিদ্ধান্তকে বেপরোয়া আখ্যা দিয়েছেন ক্রেমলিন। তারা বলেছে, যদি সত্যি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালানো হয়, তবে এর যথোপযুক্ত জবাব দেবে মস্কো।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পারমাণবিক হামলার শঙ্কা থেকেই এমন সেইফ হোম তৈরি শুরু করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার জরুরি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ইনস্টিটিউট বলেছে, ‘কেইউবি–এম’ নামে এসব আশ্রয়কেন্দ্র পারমাণবিক বোমা হামলা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয় থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য সুরক্ষা দিতে পারে।
গবেষণা ইনস্টিটিউটটি বলছে, ‘কেইউবি–এম’ দেখতে জাহাজে পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত মজবুত কনটেইনারের মতো। এর দুটি মডিউল রয়েছে। একটি কক্ষে ৫৪ জন আশ্রয় নিতে পারবেন। অন্যটি কারিগরি ব্লক হিসেবে ব্যবহারের জন্য। প্রয়োজনে এক একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আরও মডিউল যুক্ত করা যাবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সহজেই ট্রাকে পরিবহনের উপযোগী এবং এতে পানি সরবরাহের সংযোগ দেওয়া সম্ভব। রাশিয়ার বিস্তীর্ণ বরাফাচ্ছাদিত এলাকাতেও স্থাপন করা যাবে এসব আশ্রয়কেন্দ্র। এরই মধ্যে দুদেশ (রাশিয়া ও ইউক্রেন) একজন আরেকজনকে পারমানবিক ও ড্রোন হামলা সবই করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রথমবারের মতো গতকাল মঙ্গলবার(১৯ নভেম্বর) রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের হাজারতম দিনে এ হামলা চালানো হয়। এমন হামলা চালানো হলে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়ে রেখেছে দেশটি। তাই গতকালের এ হামলার পর ইউক্রেন যুদ্ধ আরও সংঘাতের দিকে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হামলার আশঙ্কায় গতকালই নিজেদের পরমাণুনীতিতে পরিবর্তন এনেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশের সমর্থন নিয়ে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হলে পাল্টা জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে মস্কো। শুধু তা–ই নয়, কোনো জোটের সদস্য দেশ যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালায়, তাহলে পুরো জোটই এই আগ্রাসন চালিয়েছে বলে বিবেচনা করতে পারবে বলে জানিয়েছে সুরক্ষিত এই কমপ্লেক্স। সূত্র- রয়টার্স