ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইউক্রেন যুদ্ধে সফলতা পেয়েছে রাশিয়া

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৩:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইউক্রেন যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করছে রাশিয়া। আমেরিকার ইন্সটিটিউট ফর দি স্টাডি অফ ওয়ার বা আইএসডব্লিউ- এর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ছয় গুণ বেশি ইউক্রেনীয় ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী। এই যুদ্ধে দেশটির পাঁচভাগের একভাগ ভূমির দখল হারিয়েছে কিয়েভ। বর্তমানে দনবাস এলাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পুতিন বাহিনী। যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক সমাধানে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জি-টুয়েন্টি সম্মেলনেও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।

আমেরিকার সহায়তা ও ইন্ধনে রাশিয়ার ভূখণ্ডে নতুন নতুন অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। যদিও যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ এখনো রাশিয়ার হাতেই। আমেরিকার ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ইউক্রেনের এক পঞ্চমাংশ ভূখন্ড দখলে নিয়েছে রাশিয়া। আর ২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছরে ছয়গুণ বেশি ভূখন্ড দখল করেছে রুশ বাহিনী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইউক্রেনের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দনবাসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। এছাড়া, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন যে বিস্ময়কর অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল তা ধরে রাখতে পারছে না। পাল্টা আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার দেয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে যুদ্ধকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে গেছে ইউক্রেন।

এদিকে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যেও আশা জাগিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন। পাঁচ সাবেক ও বর্তমান রুশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, দ্বন্দ্ব মেটাতে রাজি হতে পারে ক্রেমলিন। তবে শর্ত হিসেবে যুদ্ধ অধিকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ছাড়বে না রাশিয়া। পাশাপাশি কিয়েভ ন্যাটোয় যোগ দিতে পারবে না। বন্দি এবং ইউক্রেনে যুদ্ধরত প্রত্যেক রাশিয়ান সেনাকে ফেরত দিতে হবে। শান্তি ফেরাতে আমেরিকা-রাশিয়ার যে কোনো ধরনের চুক্তিতে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে ইউক্রেনকে।

এদিকে, যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চান বিশ্ব নেতারাও। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, যুদ্ধের সম্প্রসারণ চান না। সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিতে রাশিয়া অবশ্যই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেবে, তবে ন্যাটোকে তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেন যুদ্ধে সফলতা পেয়েছে রাশিয়া

আপডেট সময় : ০৩:৪৩:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ইউক্রেন যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করছে রাশিয়া। আমেরিকার ইন্সটিটিউট ফর দি স্টাডি অফ ওয়ার বা আইএসডব্লিউ- এর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ছয় গুণ বেশি ইউক্রেনীয় ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী। এই যুদ্ধে দেশটির পাঁচভাগের একভাগ ভূমির দখল হারিয়েছে কিয়েভ। বর্তমানে দনবাস এলাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পুতিন বাহিনী। যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক সমাধানে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জি-টুয়েন্টি সম্মেলনেও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।

আমেরিকার সহায়তা ও ইন্ধনে রাশিয়ার ভূখণ্ডে নতুন নতুন অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। যদিও যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ এখনো রাশিয়ার হাতেই। আমেরিকার ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ইউক্রেনের এক পঞ্চমাংশ ভূখন্ড দখলে নিয়েছে রাশিয়া। আর ২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছরে ছয়গুণ বেশি ভূখন্ড দখল করেছে রুশ বাহিনী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইউক্রেনের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দনবাসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। এছাড়া, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন যে বিস্ময়কর অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল তা ধরে রাখতে পারছে না। পাল্টা আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার দেয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে যুদ্ধকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে গেছে ইউক্রেন।

এদিকে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যেও আশা জাগিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন। পাঁচ সাবেক ও বর্তমান রুশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, দ্বন্দ্ব মেটাতে রাজি হতে পারে ক্রেমলিন। তবে শর্ত হিসেবে যুদ্ধ অধিকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ছাড়বে না রাশিয়া। পাশাপাশি কিয়েভ ন্যাটোয় যোগ দিতে পারবে না। বন্দি এবং ইউক্রেনে যুদ্ধরত প্রত্যেক রাশিয়ান সেনাকে ফেরত দিতে হবে। শান্তি ফেরাতে আমেরিকা-রাশিয়ার যে কোনো ধরনের চুক্তিতে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে ইউক্রেনকে।

এদিকে, যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চান বিশ্ব নেতারাও। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, যুদ্ধের সম্প্রসারণ চান না। সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিতে রাশিয়া অবশ্যই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেবে, তবে ন্যাটোকে তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।