ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় উঠে দাঁড়ালেন বেগম খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:২২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেনাকুঞ্জে উপস্থিত হন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে যাত্রা করে বিকেল পৌনে ৪টায় সেনাকুঞ্জে পৌঁছান তিনি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হলে তিনি হুইল চেয়ার থেকে অসুস্থতা সত্ত্বেও উঠে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। এই দৃশ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অনেকেই এই অবস্থানকে দেশের প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধাবোধের প্রতীক হিসেবে দেখছেন।

২০১৮ সালের পর এটি ছিল তার প্রথম জনসম্মুখে উপস্থিতি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিলেট সফরের পর তিনি আর কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেননি। দীর্ঘদিন অসুস্থতার কারণে গৃহবন্দী থাকার পর এই অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর দীর্ঘ চার দশকের স্মৃতি বিজড়িত শহীদ মইনুল রোডের বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করা হয়। প্রায় ১৩ বছর পর এই সেনানিবাসে তার উপস্থিতি একটি প্রতীকী মুহূর্ত সৃষ্টি করে।

সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল এএসএম কামরুল আহসান গত ১৯ নভেম্বর তার বাসায় গিয়ে এই আমন্ত্রণপত্র প্রদান করেন।

এই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং শীর্ষ ২৬ জন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় উঠে দাঁড়ালেন বেগম খালেদা জিয়া

আপডেট সময় : ০৫:২২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেনাকুঞ্জে উপস্থিত হন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে যাত্রা করে বিকেল পৌনে ৪টায় সেনাকুঞ্জে পৌঁছান তিনি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হলে তিনি হুইল চেয়ার থেকে অসুস্থতা সত্ত্বেও উঠে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। এই দৃশ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অনেকেই এই অবস্থানকে দেশের প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধাবোধের প্রতীক হিসেবে দেখছেন।

২০১৮ সালের পর এটি ছিল তার প্রথম জনসম্মুখে উপস্থিতি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিলেট সফরের পর তিনি আর কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেননি। দীর্ঘদিন অসুস্থতার কারণে গৃহবন্দী থাকার পর এই অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর দীর্ঘ চার দশকের স্মৃতি বিজড়িত শহীদ মইনুল রোডের বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করা হয়। প্রায় ১৩ বছর পর এই সেনানিবাসে তার উপস্থিতি একটি প্রতীকী মুহূর্ত সৃষ্টি করে।

সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল এএসএম কামরুল আহসান গত ১৯ নভেম্বর তার বাসায় গিয়ে এই আমন্ত্রণপত্র প্রদান করেন।

এই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং শীর্ষ ২৬ জন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।