কিশোরগঞ্জে ডিবি হারুনের শতকোটির টাকার প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট
- আপডেট সময় : ০৩:১৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
কিশোরগঞ্জে ডিবি হারুনের শতকোটির টাকার প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট রয়েছে। রিসোর্টের প্রতি কক্ষের জন্য একদিনের ভাড়া ছিল ২০ হাজার টাকা। অথচ এটি গড়তে ভয় দেখিয়ে জোর করে নেওয়া হয়েছে যে জমি, তার দাম এখনও পাননি কৃষক। বর্তমানে রিসোর্টটি বন্ধ রয়েছে। পলাতক রয়েছেন হারুন ও তাঁর ভাই রশিদ। তাই কৃষকদের পাওনা টাকা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
সরেজমিনে জানা যায়, মিঠামইনের প্রত্যন্ত গ্রাম হোসেনপুর। হাওরের মাঝে ৪০ একর জায়গা জুড়ে প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট। সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অত্যাধুনিক এই রিসোর্টটি গড়ে তোলেন। পুকুর, হেলিপ্যাড, সুইমিংপুল ও ক্যাফে সুবিধাসহ ডুপ্লেক্স কটেজে ৪০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ রয়েছে রিসোর্টে। প্রতিকক্ষের এক দিনের ভাড়া ২০ হাজার টাকা। তাই রিসোর্টিতে সাধারণের যাতায়াত ছিল না বললেই চলে। তবে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে জনমানবহীন ভুতুড়ে অবস্থায় পড়ে আছে।
রিসোর্টে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ‘রিসোর্টে ঘুরতে আসছিলাম। কিন্তু এইখানে এসে দেখি তালাবদ্ধ।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, রিসোর্টের জন্য ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক নেওয়া জমির দাম এখনও পাননি অনেকেই। যাদের সম্পত্তি দখল করে তৈরি হয়েছে এই রিসোর্ট, তারা এখনও হারুনের ভয়ে মুখ খুলছে না।
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘ঢাকা থেকে এই রিসোর্টে ভিআইপি লোকজন আসত। কারণ হারুন সাহেব ছিলেন তখন ক্ষমতাশীল পুলিশ কর্মকর্তা।’
স্থানীয় আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘তিনি জায়গা কিনেছেন এবং দেশের সাধারণ মানুষ, নিরীহ মানুষের জায়গা জোর করে দখল করেছেন। এরপর এইখানে এই রিসোর্ট করেছেন। তখনকার সময় এই সাধারণ মানুষগুলো হারুনের ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করার সুযোগ পায়নি।’
আরেকজনের দাবি করে বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই হারুন সাহেব এত টাকা কোথা থেকে পেলেন।’
৫ আগস্টের পর থেকে রিসোর্ট বন্ধ রয়েছে। রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে থাকা হারুনের ভাই শাহরিয়ার রশিদ আছেন পলাতক।