বিএনপি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতিত সব নেতাকর্মীর পাশে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি সব বিভেদ ভুলে আগামীর জন্য দলের হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এ সময় ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জেলখানায় নিদারুন কষ্টেরও বর্ণনা করেন তিনি।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নবাবগঞ্জ উপজেলা হলরুমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নবাবগঞ্জ উপজেলা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর আয়োজনে নবাবগঞ্জে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে আহত নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলখানায় থাকা নেতাকর্মীদের নানা কষ্টের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘জেলে কয়েদিদের জন্য বানানো রুটি খাবার দেওয়ার অনেক আগেই বানানো হয়। খুব শক্ত, টেনে টেনে খেতে হয়। এর সঙ্গে দেওয়া হয় শক্ত গুড়। যেটি মাথায় লাগলে মাথা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। দুপুরে খাবার দেওয়া হয় লাবড়া ঘাড়া। এমন কষ্টের জেলখানায় আমার ১৪ মাস কেটেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি মাত্র চৌদ্দ মাস জেলে থাকলেও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে থাকতে হয়েছে ছয় বছর। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কোমরের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে, চিকিৎসায় বিদেশে থাকতে হয়েছে। আরাফাত রহমান কোকোকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।’
নির্যাতিত নবাবগঞ্জ যুবদলের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে প্রায় ৯ বছর জেলখানায় কেটেছে। শুধু আমিই নই, এলাকার অনেক নেতাকর্মীর ভাগ্যই এমন ছিল। আমাদের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নিয়ে এমন আয়োজনে আমরা গর্বিত।’
তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় রংপুর বিভাগীয় সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোফাজ্জল হোসেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বখতিয়ার আহম্মেদ কচি, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে আহত ১৭ নেতাকর্মীর মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।