পরিবর্তিত বাংলাদেশে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে পুরোনো ধারাবাহিকতাতেই। যেখানে আগের মতোই আধিক্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই নির্বাচন কমিশনের কাঁধে পাহাড়সম দায়িত্ব বর্তেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষক ও রাজনীতিকরা। তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য আইনের প্রয়োগ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি ও ভোটে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বড় উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়েছে বৃহস্পতিবার, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে। তবে, বিগত কয়েকটি নির্বাচন কমিশনের মতো এবারো তিনজন অবসরপ্রাপ্ত আমলা, বিচার বিভাগ ও সেনাবাহিনীর একজন করে সাবেক কর্মকর্তা নিয়ে ইসি গঠিত হয়েছে। ফলে, নতুন এই কমিশনে নতুনত্য নেই বলে মনে করেন নির্বাচন পর্যবেক্ষক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন নির্বাচন কমিশনকে গণতন্ত্রের রক্ষকের ভূমিকায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। সেই সাথে নিশ্চিত করতে হবে ভোটাধিকার।
আর রাজনৈতিক দলের নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
বলছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি ও আইনের প্রয়োগ করে নিশ্চিত করে সবার আস্থার জায়গায় যেতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আগামী রোববার নতুন নির্বাচন কমিশনের শপথ নেয়ার কথা রয়েছে।