‘বাংলাদেশের আত্মাকে তারা ধ্বংস করেছে’
- আপডেট সময় : ১১:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিল বাংলাদেশের আত্মাকে তারা ধ্বংস করেছে। ধীরে ধীরে সব মূল্যবোধ ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল দলটি।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে যশোর বিডি হলে জেলা বিএনপি আয়োজিত নাগরিক ভাবনা শীর্ষক ফ্যাসিবাদ বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন ও আজকের প্রেক্ষিত বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন যত দ্রুত হবে, ততই দেশের মানুষের কাছে অবাধ ও আস্থার হবে।
পেশাজীবীদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো না। তারা গণতান্ত্রিক দল নয়, তাদের খোলসটা ছিল গণতন্ত্রের।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের আত্মাটাকে ধ্বংস করেছে। একাত্তরের মাধ্যমে দেশের মানুষ একটি গণতান্ত্রিক মানবিক মূল্যবোধের দেশ গঠন করতে চেয়েছিল। সেটাকে ধ্বংস করা হয়েছে। ৭১ বাদ দিয়ে কোনো চিন্তা করা সম্ভব না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্ররা বিপ্লবী সরকার গঠন করলে আমাদের কিছু বলার ছিল না। কিন্তু এটা সাংবিধানিক সরকার। আপিল বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হবে। ফলে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্বাচন দিতে হবে দ্রুত।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, এ দেশের মানুষ আজন্মকাল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। শেখ হাসিনার পতন অনিবার্য ছিল। তাদের সর্বস্তরের নেতারা পালিয়েছে। এটা তাদের পূর্বাভ্যাস। ৭১’ও তারা পালিয়েছিল। ওরা মুক্তিযোদ্ধা করেনি, শেখ মুজিবও মুক্তিযুদ্ধ করেনি। ফলে ফ্যাসিস্ট পলাতকদের নিয়ে আলোচনা নয়, ছাত্র জনতার অভ্যূত্থানকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। রাষ্ট্রে পরিবর্তন আনতে হবে। সমতার ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, অ্যাডভোকেট কাজী মণিরুল হুদা, সাবিরা ইসলাম মুন্নি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সভার শুরুতে বিএনপি মহাসচিব ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। একইসঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের পক্ষে সহায়তা দেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষে ১ দিন আগে মির্জা ফখরুল যশোরে আসেন।