রহমান-সায়রার বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছিল এই বঙ্গ ললনাকে। কারণ এ আর রহমানের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণার কিছু ঘণ্টা পরেই নিজের সেপারেশন ঘোষণা করেন মোহিনী দে।
ঠিক এই ঘোষণার পরই এ আর রহমানের দলের বেসিস্ট মোহিনী দে তাঁর স্বামীর থেকে আলাদা হওয়ার কথা জানান। মোহিনী এবং তাঁর সুরকার স্বামী মার্ক হার্টসুচ জানান, তাঁরা তাঁদের বিবাহের ইতি টানছেন।
এরপরই শুরু হয় ফিসফাস। তাহলে রহমান-সায়রার বিচ্ছেদের পিছনে কারণ এই বঙ্গ তনয়া। কেন রহমানের বিচ্ছেদের ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে মোহিনীও তাঁর সুরকার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন?
এরপরই মুখ খুললেন বন্দনা শাহ। সায়রা বানুর আইনজীবী এ আর রহমান ও মোহিনীর বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ কাকতালীয়। এক সর্বভারতীয় চ্যানেলে তাঁর বক্তব্য, ‘এই দুই বিচ্ছেদের মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই। সায়রা ও রহমান নিজেরাই ভেবে-চিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
কিন্তু কে এই মোহিনী দে? কেনই বা রহমান-সায়রার বিচ্ছেদের সঙ্গে তাঁকে জড়াচ্ছে মানুষ? রহমানের টিমে কাজ করেন বেসিস্ট মোহিনী। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে রহমানের সঙ্গে প্রায় ৪০টি শো-তে পারফর্ম করেন।
২০ জুলাই, ১৯৯৬ সালে মুম্বইয়ে জন্ম মোহিনীর। সঙ্গীতের গভীরভাবে নিমগ্ন এক পরিবারে বেড়ে ওঠা। তার বাবা, সুজয় দে, একজন বিখ্যাত সেশন মিউজিশিয়ান। অল্প বয়সেই মোহিনীর প্রতিভার স্বীকৃতি দিয়েছিলেন তিনি। তার নির্দেশনা এবং সমর্থনে, মোহিনী বেস গিটার বাজানো সূচনা। সঙ্গীত জগতে তার যাত্রা শুরু ১১ বছর বয়সে।
মোহিনী দে-র বয়স মাত্র ২৯। জনপ্রিয় বেসিস্ট হিসেবে কলকাতায় বহুদিন আগে থেকেই পরিচিত। তাঁর নিজেরও একটি ব্যান্ড রয়েছে।গান বাংলা এস উইন্ড অফ চেঞ্জ-এ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। তার প্রতিভা জ্যাজ উস্তাদ লুই ব্যাঙ্কসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তারপরেই আন্তর্জাতিক স্তরে যাত্রা শুরু মোহিনীর।
স্টিভ ভাই, জাকির হুসেন, ভিনি কোলাইউটা ও পপ তারকা উইলো স্মিথের মতো কিংবদন্তির সঙ্গে কাজ করেছেন। এমটিভি আনপ্লাগড, কোক স্টুডিও এবং দ্য টুনাইট শো উইথ জিমি ফ্যালনের মতো প্ল্যাটফর্মে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছেন মোহিনী।
২০২৩ সালে তিনি তাঁর প্রথম অ্যালবাম রিলিজ করেন। তাঁর প্রথম সেই অ্যালবামের নাম ফ্রি স্পিরিট। কখনও ঝাঁকড়া চুল, কখনও আবার জটা...বারবার ছক ভেঙেছেন বেসিস্ট । সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফলোয়ার্সের সংখ্যাও প্রচুর।
উল্লেখ্য, এআর রহমান ও সায়রা ১৯৯৫ সালে বিয়ে করেন। মাত্র দু’মাসের আলাপে বিয়ে। সম্বন্ধ করেই বিয়ে হয় তাঁদের । তাঁদের তিন সন্তান। খাতিজা, রহিমা ও আমিন। সেই বিবাহবন্ধন অবশেষে ভাঙল।