ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৩৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাঠামোগত সংস্কারের পথে এগিয়ে যেতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। সেইসঙ্গে হত্যা মামলায় সাংবাদিকদের জড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠনটি গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ আহ্বান জানায়।

সম্প্রতি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারকে একটি সাক্ষাৎকার দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ঘটনায় করা হত্যা মামলা নিয়েও কথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে ভিত্তিহীন হত্যা মামলা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় ১৪০ জনের বেশি সাংবাদিকের নাম আসার বিষয়টি ‘পুরোনো আইন ও চর্চা’র ফল বলে মন্তব্য করেন। তিনি জানান, তড়িঘড়ি করে মামলা করতে গিয়ে এমনটি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার এ ‘স্বীকারোক্তিকে’ স্বাগত জানিয়েছে আরএসএফ।

আরএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাক্ষাৎকারে এ ধরনের মামলা করা বন্ধে তাঁর অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। পাশাপাশি যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তি আছে কি না, তা একটি কমিটি পরীক্ষা করে দেখবে বলেও জানান তিনি।

তবে এ প্রক্রিয়ার কোনো সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়নি উল্লেখ করে আরএসএফ বলেছে, এটি (ড. ইউনূসের ওই বক্তব্য) একটি উৎসাহব্যঞ্জক সরকারি ঘোষণা। এতে এ ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যে ‘প্রতিশোধ গ্রহণের’ ধারায় গত সেপ্টেম্বর থেকে শতাধিক সাংবাদিক ভুক্তভোগী হয়েছেন, শিগগিরই সে অবস্থার অবসান ঘটতে পারে।

সাক্ষাৎকারে ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ কার্ড বাতিল করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের কাজ করতে বাধা দেবে না। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তাঁদের প্রবেশাধিকার সীমিত হবে শুধু।

এ প্রসঙ্গে আরএসএফের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান সিলিয়া মার্সিয়া বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বরাদ্দ ও বাতিল করার ক্ষেত্রে একটি স্বচ্ছ ও অরাজনৈতিক পদ্ধতি থাকা জরুরি।

আরএসএফ তাদের প্রতিবেদনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের একটি বক্তব্যও তুলে ধরেছে। সম্প্রতি ‘জুলাই গণহত্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি আলোচনায় শফিকুল আলম বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় কী ঘটেছিল, সে সত্য আমলে না নিলে আরএসএফের মতো সংগঠনগুলো (বর্তমান) বাস্তবতা উপেক্ষা করবে। আরএসএফ তাঁর এ বক্তব্য আমলে নিয়ে বর্তমান সরকারকে সাংবাদিকদের প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রায় ১৪০ জন সাংবাদিক ছাত্র-জনতাকে হত্যার অভিযোগে করা ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ মামলার আসামি হয়েছেন। গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে ২৫ জন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন পাঁচজন সাংবাদিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

আপডেট সময় : ০১:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাঠামোগত সংস্কারের পথে এগিয়ে যেতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। সেইসঙ্গে হত্যা মামলায় সাংবাদিকদের জড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠনটি গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ আহ্বান জানায়।

সম্প্রতি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারকে একটি সাক্ষাৎকার দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ঘটনায় করা হত্যা মামলা নিয়েও কথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে ভিত্তিহীন হত্যা মামলা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় ১৪০ জনের বেশি সাংবাদিকের নাম আসার বিষয়টি ‘পুরোনো আইন ও চর্চা’র ফল বলে মন্তব্য করেন। তিনি জানান, তড়িঘড়ি করে মামলা করতে গিয়ে এমনটি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার এ ‘স্বীকারোক্তিকে’ স্বাগত জানিয়েছে আরএসএফ।

আরএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাক্ষাৎকারে এ ধরনের মামলা করা বন্ধে তাঁর অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। পাশাপাশি যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তি আছে কি না, তা একটি কমিটি পরীক্ষা করে দেখবে বলেও জানান তিনি।

তবে এ প্রক্রিয়ার কোনো সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়নি উল্লেখ করে আরএসএফ বলেছে, এটি (ড. ইউনূসের ওই বক্তব্য) একটি উৎসাহব্যঞ্জক সরকারি ঘোষণা। এতে এ ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যে ‘প্রতিশোধ গ্রহণের’ ধারায় গত সেপ্টেম্বর থেকে শতাধিক সাংবাদিক ভুক্তভোগী হয়েছেন, শিগগিরই সে অবস্থার অবসান ঘটতে পারে।

সাক্ষাৎকারে ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ কার্ড বাতিল করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের কাজ করতে বাধা দেবে না। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তাঁদের প্রবেশাধিকার সীমিত হবে শুধু।

এ প্রসঙ্গে আরএসএফের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান সিলিয়া মার্সিয়া বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বরাদ্দ ও বাতিল করার ক্ষেত্রে একটি স্বচ্ছ ও অরাজনৈতিক পদ্ধতি থাকা জরুরি।

আরএসএফ তাদের প্রতিবেদনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের একটি বক্তব্যও তুলে ধরেছে। সম্প্রতি ‘জুলাই গণহত্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি আলোচনায় শফিকুল আলম বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় কী ঘটেছিল, সে সত্য আমলে না নিলে আরএসএফের মতো সংগঠনগুলো (বর্তমান) বাস্তবতা উপেক্ষা করবে। আরএসএফ তাঁর এ বক্তব্য আমলে নিয়ে বর্তমান সরকারকে সাংবাদিকদের প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রায় ১৪০ জন সাংবাদিক ছাত্র-জনতাকে হত্যার অভিযোগে করা ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ মামলার আসামি হয়েছেন। গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে ২৫ জন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন পাঁচজন সাংবাদিক।