ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৩ ট্রেনের লিজ বাতিল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে বেসরকারিভাবে পরিচালিত আরও ১৩ ট্রেনের লিজ বাতিল করতে যাচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। তবে রেলওয়ে বলছে, মামলা থাকায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।

এর আগে, চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩ নভেম্বর বেসরকারিভাবে পরিচালিত ২৪ ট্রেনের লিজ বাতিল করে রেল মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে লিজ বাতিল হওয়া এই ২৪ ট্রেনের বিষয়ে নতুন টেন্ডারও ডাকা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, ৪ বছরের চুক্তিতে এই ২৪টি ট্রেন চালানো শুরু আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত সালাউদ্দিন রিপন ও তাঁর পরিবার। এরা এক দশকের বেশি সময় টেন্ডার ছাড়াই চুক্তির সময় বাড়াচ্ছিলেন। সেজন্য এসব ট্রেনের চুক্তি বাতিল হয়েছে।

এরপরই প্রশ্ন ওঠে নাজ কনসোর্টিয়াম পরিচালিত ১৩ ট্রেন নিয়ে। মন্ত্রণালয় বলছে, মামলার কারণে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে। তবে এই ১৩ ট্রেনেরও লিজ বাতিল হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে এগুলোকে পুন-টেন্ডার করতে বলেছে। যেহেতু এটা জিএমরা (জেনারেল ম্যানেজার) করে থাকেন, তাঁদের অধীনেই এই কাজটি হবে। এরই মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ধাপে ধাপে কাজটি করবেন।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন টেন্ডারে রাজনৈতিক প্রভাবে কেউ যেন লিজ না পায়। ট্রেন চালানোর শর্ত থাকতে হবে উন্মুক্ত।

মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন বলেন, ‘যাদেরই লিজ দেওয়া হোক, জবাবদিহি যেন থাকে। শর্তগুলো যেন উন্মুক্ত থাকে, যাতে করে আমরা তা দেখতে পারি। শর্তগুলো যেন স্বার্থবিরোধী না হয়, জনগণের স্বার্থের বা সরকারের স্বার্থের সঙ্গে যাচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।’

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, দুর্নীতির কারণেই সরকারির তুলনায় বেসরকারি ট্রেনে আয় বেশি। যদিও এতে রেলের খুব একটা লাভ হচ্ছে না।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘শুধু ইজারাদারের ওপর দোষ চাপালে হবে না। পাশাপাশি রেলের ভেতরে যারা কর্মকর্তা বা কর্মচারী আছেন তাঁরাও যদি চক্রের অংশীজন হয়ে থাকে তাও শনাক্ত করতে হবে। ভবিষ্যতে বেসরকারি খাতে রেল দেওয়ার আগে আমাদের আরও সচেতন হওয়া দরকার।’

জনবল সংকটের কারণে ১৯৯৭ সালে বেসরকারিভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সব সুবিধা রেলওয়ে দিলেও ভাড়া আদায় করে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান।

নিউজটি শেয়ার করুন

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৩ ট্রেনের লিজ বাতিল

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে বেসরকারিভাবে পরিচালিত আরও ১৩ ট্রেনের লিজ বাতিল করতে যাচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। তবে রেলওয়ে বলছে, মামলা থাকায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।

এর আগে, চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩ নভেম্বর বেসরকারিভাবে পরিচালিত ২৪ ট্রেনের লিজ বাতিল করে রেল মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে লিজ বাতিল হওয়া এই ২৪ ট্রেনের বিষয়ে নতুন টেন্ডারও ডাকা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, ৪ বছরের চুক্তিতে এই ২৪টি ট্রেন চালানো শুরু আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত সালাউদ্দিন রিপন ও তাঁর পরিবার। এরা এক দশকের বেশি সময় টেন্ডার ছাড়াই চুক্তির সময় বাড়াচ্ছিলেন। সেজন্য এসব ট্রেনের চুক্তি বাতিল হয়েছে।

এরপরই প্রশ্ন ওঠে নাজ কনসোর্টিয়াম পরিচালিত ১৩ ট্রেন নিয়ে। মন্ত্রণালয় বলছে, মামলার কারণে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে। তবে এই ১৩ ট্রেনেরও লিজ বাতিল হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে এগুলোকে পুন-টেন্ডার করতে বলেছে। যেহেতু এটা জিএমরা (জেনারেল ম্যানেজার) করে থাকেন, তাঁদের অধীনেই এই কাজটি হবে। এরই মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ধাপে ধাপে কাজটি করবেন।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন টেন্ডারে রাজনৈতিক প্রভাবে কেউ যেন লিজ না পায়। ট্রেন চালানোর শর্ত থাকতে হবে উন্মুক্ত।

মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন বলেন, ‘যাদেরই লিজ দেওয়া হোক, জবাবদিহি যেন থাকে। শর্তগুলো যেন উন্মুক্ত থাকে, যাতে করে আমরা তা দেখতে পারি। শর্তগুলো যেন স্বার্থবিরোধী না হয়, জনগণের স্বার্থের বা সরকারের স্বার্থের সঙ্গে যাচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।’

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, দুর্নীতির কারণেই সরকারির তুলনায় বেসরকারি ট্রেনে আয় বেশি। যদিও এতে রেলের খুব একটা লাভ হচ্ছে না।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘শুধু ইজারাদারের ওপর দোষ চাপালে হবে না। পাশাপাশি রেলের ভেতরে যারা কর্মকর্তা বা কর্মচারী আছেন তাঁরাও যদি চক্রের অংশীজন হয়ে থাকে তাও শনাক্ত করতে হবে। ভবিষ্যতে বেসরকারি খাতে রেল দেওয়ার আগে আমাদের আরও সচেতন হওয়া দরকার।’

জনবল সংকটের কারণে ১৯৯৭ সালে বেসরকারিভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সব সুবিধা রেলওয়ে দিলেও ভাড়া আদায় করে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান।