মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত দিয়েছে ব্রিটেন। নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসি যার মোট ১২৪টি সদস্য দেশের মধ্যে রয়েছে ব্রিটেনও।
প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টেরমারের মুখপাত্র এ ব্যাপারে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে এটি সবসময় তা মেনে চলবে ব্রিটেন। এছাড়া কোন ‘ওয়ান্টেড ম্যান’ যদি ব্রিটেনে আসেন তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে নেতানিয়াহুকেই ইঙ্গিত দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। নেতানিয়াহুকে কী গ্রেপ্তার করা হবে? সরাসরি এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, আমি নির্দিষ্ট কোনো মামলা নিয়ে কথা বলব না। এর আগে অপর এক ব্রিটিশ মুখপাত্র আরও কঠোরভাবে এ প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করি। যেটি পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী নিয়ে তদন্ত ও বিচার করার প্রাথমিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।”
এর আগে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিসও জানান, নেতানিয়াহু যদি আয়ারল্যান্ডে আসেন তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এ ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি জবাব দিয়ে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতকে সমর্থন করি এবং তাদের পরোয়ানা প্রয়োগ করি।”
তবে পৃথিবীর আরেক শক্তিশালী দেশ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এটিকে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করেন। তবে আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখায়েল মার্টিন শুক্রবার (২২শে নভেম্বর) বলেছেন তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বক্তব্যের বিরোধীতা করেন। কারণ ‘গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এটি গাজাবাসীর ওপর সমষ্টিগত শাস্তি, এটি গণহত্যা।”