ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান পুতিন
- আপডেট সময় : ০৩:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে তার। এরমধ্যে আছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা ভূখণ্ডগুলো নিয়ে বড় কোনও ছাড় দিতে চান না পুতিন। আর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা বাদ দিতে হবে ইউক্রেনকে। ক্রেমলিনের এই ভাবনা সম্পর্কে অবহিত এমন একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় কোনও চুক্তি হলে, তাতে ইউক্রেনে চলমান সম্মুখসারির যুদ্ধ বন্ধে রাজি হতে পারে ক্রেমলিন। এছাড়া পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন অঞ্চল ভাগাভাগির বিষয়েও আলোচনার সুযোগ রাখা হবে। এই চার অঞ্চলকে বর্তমানে নিজেদের বলে দাবি করে রাশিয়া। অঞ্চলগুলোর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ইউক্রেনের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে খারকিভ ও মিকোলাইভের অল্প যেসব এলাকা রাশিয়ার দখলে রয়েছে, সেখানে ছাড় দিতে চায় মস্কো।
এদিকে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালাতে ইউক্রেনকে অনুমতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার এমন পদক্ষেপে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছাতে জটিল হতে পারে। এ অবস্থায় শেষ পর্যন্ত কোনও চুক্তি না হয়, তাহলে রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাবে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে সূত্র। গত মঙ্গলবার রাশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার দিন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, পুতিন ইতিমধ্যেই বলেছেন, কোনোভাবেই সংঘাত বন্ধ হবে না।
সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া চায় না ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিক বা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ন্যাটো সেনারা অবস্থান করুক। কিয়েভ এই শর্ত মেনে নিলে তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে চায় মস্কো। এ ছাড়া ইউক্রেনকে নিজেদের সামরিক বাহিনীর আকার কমানো এবং দেশটিতে রুশভাষীদের বাধা না দেয়ার প্রতিশ্র“তি ক্রেমলিনকে।
ইউক্রেনের ১৮ শতাংশ অঞ্চল এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। অপর দিকে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের মাত্র ৬৫০ বর্গকিলোমিটারের মতো নিয়ন্ত্রণ করছে কিয়েভ। সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পুতিন এমন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হতে পারেন যেখানে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসনের বেশির ভাগ অঞ্চল মস্কোর অধীন থাকবে।