লেবাননে ইসরাইলি হামলায় এক দিনে নিহত ৫৯
- আপডেট সময় : ০২:১১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে
ইসরাইলের বিমান ও স্থল বাহিনীর অভিযানে লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় একদিনে নিহত হয়েছেন ৫৯ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১১২ জন। শুক্রবার (২২শে নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সর্বশেষ এই হতাহতের ঘটনার পর ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গত এক বছরে লেবাননে মোট নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৪২ জন এবং আহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৫৬ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া, লেবাননে গত বছর থেকে এ বছরের চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর লড়াইয়ে ২২৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগী নিহত হয়েছে বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পারে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল। এই দক্ষিণাঞ্চলেই বিশ্বের বৃহত্তম সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটি। গোষ্ঠীটির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনার অবস্থান এখানে। ইরানের প্রত্যক্ষ সমর্থন ও মদতে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হিজবুল্লাহ জন্মলগ্ন থেকেই ইসরাইল রাষ্ট্রকে ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্র“তিবদ্ধ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত দশকগুলোতে সীমান্ত অঞ্চলে ইসরাইলের সঙ্গে বিভিন্ন সংঘাতে জড়িয়েছে হিজবুল্লাহ, তবে উভয়পক্ষের সংঘাত গুরুতর রূপ নিয়েছে ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর।
গত ৭ই অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরাইলও। প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে সংঘাত চলার পর গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরাইলের বিমানবাহিনী। সেই অভিযান শুরুর ১০ দিনের মধ্যে নিহত হন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা ও সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডার। এতে গোষ্ঠীটির চেইন অব কমান্ডের সর্বোচ্চ স্তর প্রায় ভেঙে পড়ে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে ইসরাইলের বিমান বাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত লেবাননে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।