ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৩০০ বিলিয়ন ডলার পাবে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ধনী দেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে জলবায়ু তহবিলে বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। গতকাল শনিবার আজারবাইজানের কপ২৯ সম্মেলনে বর্ধিত আলোচনা শেষে এই সম্মতিতে পৌঁছায় আলোচকরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিবছর ৩০ হাজার কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মতি এসেছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে দেয়া হবে এই অর্থ।

এছাড়াও কার্বন নিঃসরণ কমানো-সংক্রান্ত একটি চুক্তিতেও আসে ঐকমত্য। চুক্তিতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে একটি বৈশ্বিক বাজার তৈরিতে সমঝোতা হয়। ওই বাজারে ‘কার্বন ক্রেডিট’ কেনাবেচা করতে পারবে দেশগুলো।

চুক্তি অনুযায়ী, বৃক্ষরোপণ এবং বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো নানা প্রকল্প হাতে নেবে দরিদ্র দেশগুলো। এভাবে প্রতি এক টন কার্বন ডাই-অক্সাইড বা গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর বিনিময়ে একটি ‘কার্বন ক্রেডিট’ পাবে তারা। প্রায় এক দশক ধরে ‘কার্বন ক্রেডিটের’ বাজার গড়ে তোলা নিয়ে আলোচনা চলছিল।

এদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলো এই পরিমাণকে অপমানজনকভাবে কম বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ধনী দেশগুলো যদি তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করে, তাহলে ভবিষ্যৎ জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে বিভাজন আরও গভীর হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

৩০০ বিলিয়ন ডলার পাবে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো

আপডেট সময় : ০২:০২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ধনী দেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে জলবায়ু তহবিলে বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। গতকাল শনিবার আজারবাইজানের কপ২৯ সম্মেলনে বর্ধিত আলোচনা শেষে এই সম্মতিতে পৌঁছায় আলোচকরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিবছর ৩০ হাজার কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মতি এসেছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে দেয়া হবে এই অর্থ।

এছাড়াও কার্বন নিঃসরণ কমানো-সংক্রান্ত একটি চুক্তিতেও আসে ঐকমত্য। চুক্তিতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে একটি বৈশ্বিক বাজার তৈরিতে সমঝোতা হয়। ওই বাজারে ‘কার্বন ক্রেডিট’ কেনাবেচা করতে পারবে দেশগুলো।

চুক্তি অনুযায়ী, বৃক্ষরোপণ এবং বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো নানা প্রকল্প হাতে নেবে দরিদ্র দেশগুলো। এভাবে প্রতি এক টন কার্বন ডাই-অক্সাইড বা গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর বিনিময়ে একটি ‘কার্বন ক্রেডিট’ পাবে তারা। প্রায় এক দশক ধরে ‘কার্বন ক্রেডিটের’ বাজার গড়ে তোলা নিয়ে আলোচনা চলছিল।

এদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলো এই পরিমাণকে অপমানজনকভাবে কম বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ধনী দেশগুলো যদি তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করে, তাহলে ভবিষ্যৎ জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে বিভাজন আরও গভীর হতে পারে।