ট্রাইব্যুনালে পুলিশ-র্যাবের বিচার করা যাবে: প্রসিকিউটর তামিম
- আপডেট সময় : ০৩:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৮৪ বার পড়া হয়েছে
আইন সংশোধন করার ফলে এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবেরও বিচার করা যাবে। আজ সোমবার সংশোধিত অধ্যাদেশ নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
তিনি বলেন, বিদেশে বসে অপরাধ করলেও সেটিকে ট্রাইব্যুনালের আমলে আনা যাবে। তবে কোনো রাজনৈতিক দলের বিচারের বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারে থাকছে না।
প্রসিকিউটর তামিম জানান, ত্রুটিপূর্ণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার অপরাধের বিচার করারও সুযোগ থাকছে ট্রাইব্যুনালে। আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ চাইলে বার কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়ে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগেরও বিধান রাখা হয়েছে।
প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম বলেন, ‘এই সংশোধনীতে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সকল প্রকার বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের করা হয়েছে। সরকার এটিকে গতকাল সংশোধন করেছে। এই আইনে আন্তর্জাতিকভাবে যেসব প্রশ্ন তোলা হতো, সেসব বিষয় মিট আপ করে এই সংশোধন করা হয়েছে। এই আইনে আগে ডিফেন্স কাউন্সিলের জন্য আলাদা বিষয় ছিল না। এখন এ বিষয়ে একটি স্পেশাল সেকশন করা হয়েছে। আগে আসামিদের শুধু স্টেটমেন্ট দেওয়ার সুযোগ ছিল। এখন এই সেকশন সেভেনটিনকে বিস্তারিত আকারে করা হয়েছে। এখানে আসামি তার সকল প্রকার সুযোগ পাবে।’
গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম বলেন, ‘আগে শুধুমাত্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে অপরাধ করলে এ আইনে বিচার করা হতো। এখন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে অথবা দেশের বাইরে থেকে অপরাধ করলে তার বিচার করা হবে। অথবা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে যদি কোনো বিদেশিও এই অপরাধ করে তাকেও বিচারের আওতায় আনা হবে। আগে বিভিন্ন কিছু মিলিয়ে গুমের সংজ্ঞায়িত করা হতো এখন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ফোর্সফুল ডিজ অ্যাপিয়ারেন্স বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। গুমের জন্য স্পেশাল বিচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আগে এই আইনে কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান ছিল না। সেটা এখন এই আইনে রাখা হয়েছে।’
এছাড়া জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন যেন বিচার পর্যবেক্ষণ করতে পারে, নতুন অধ্যাদেশে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।