ঢাকা ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, ব্যর্থতা স্বীকার করলেন ওয়ারীর উপ-পুলিশ কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর ডেমরায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে ভাঙচুরের ঘটনায় ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন ওয়ারী থানার উপ-পুলিশ কমিশনার ছালেহ উদ্দিন। আর হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ভাঙচুর ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেছে পুলিশ।

ওয়ারীর উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, স্বল্পতা ও সরঞ্জামের অভাবে যাত্রাবাড়ীতে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করতে পারেনি পুলিশ। পরবর্তীতে এই দুই কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মাহবুবুর রহমান কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওয়ারী থানার উপ-পুলিশ কমিশনার ছালেহ উদ্দিন বলেন, ‘পর্যাপ্ত সাপোর্ট নাই। এই সীমিত সাপোর্ট দিয়ে আমরা কিন্তু সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি এখন পর্যন্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা চেষ্টা করছি। আপনাদের সহযোগিতা চায়।’

অন্যদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির কারণেই সহিংসতা হয়েছে। কলেজ ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাট হয়েছে বলেও দাবি মাহবুবুর রহমান কলেজ কর্তৃপক্ষের।

ডা. মাহবুবুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন বলেন, ‘এ বছর এইচএসসি পাস করা আমাদের সাবেক শিক্ষার্থী ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে মারা যায়। আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি, ভুল চিকিৎসার কারণে সে মারা গেছে। এটা নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব। যদি আজকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ সুন্দরভাবে এটার সমাধান করে দিতো, তাহলে আজকে এই ধরনের ঘটন ঘটতো না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, ব্যর্থতা স্বীকার করলেন ওয়ারীর উপ-পুলিশ কমিশনার

আপডেট সময় : ১১:৩২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর ডেমরায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে ভাঙচুরের ঘটনায় ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন ওয়ারী থানার উপ-পুলিশ কমিশনার ছালেহ উদ্দিন। আর হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ভাঙচুর ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেছে পুলিশ।

ওয়ারীর উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, স্বল্পতা ও সরঞ্জামের অভাবে যাত্রাবাড়ীতে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করতে পারেনি পুলিশ। পরবর্তীতে এই দুই কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মাহবুবুর রহমান কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওয়ারী থানার উপ-পুলিশ কমিশনার ছালেহ উদ্দিন বলেন, ‘পর্যাপ্ত সাপোর্ট নাই। এই সীমিত সাপোর্ট দিয়ে আমরা কিন্তু সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি এখন পর্যন্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা চেষ্টা করছি। আপনাদের সহযোগিতা চায়।’

অন্যদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির কারণেই সহিংসতা হয়েছে। কলেজ ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাট হয়েছে বলেও দাবি মাহবুবুর রহমান কলেজ কর্তৃপক্ষের।

ডা. মাহবুবুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন বলেন, ‘এ বছর এইচএসসি পাস করা আমাদের সাবেক শিক্ষার্থী ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে মারা যায়। আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি, ভুল চিকিৎসার কারণে সে মারা গেছে। এটা নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব। যদি আজকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ সুন্দরভাবে এটার সমাধান করে দিতো, তাহলে আজকে এই ধরনের ঘটন ঘটতো না।’