লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের তেল আবিবে ৩৪০টি রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে হিজবুল্লাহর হামলায় তেল আবিবের ‘গুরুতর ক্ষতি’ হয়েছে বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
হিজবুল্লাহ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, প্রথমবারের মতো তারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আশদ নৌঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে তেল আবিবের একটি ‘সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালানো হয়েছে। একই সময়ে তেল আবিবের উপকণ্ঠে একটি গোয়েন্দা ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা।
ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, আহত ১১ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়া ইসরায়েলের দখল করা পশ্চিম তীরের তুলকারেম শরণার্থীর শিবিরের কয়েকটি বাড়ির ওপর একটি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে বৈরুত কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। হতাতের ব্যাপারে এখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত বৈরুতের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে লেবাননের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে বৈরুতে অন্তত চারটি ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। এতে মোহাম্মদ আফিফ নামে হিজবুল্লাহর একজন মুখপাত্র নিহত হন। এরপর গত বুধবার এক বক্তৃতায় হিজবুল্লাহপ্রধান নাইম কাসেম বলেন, বৈরুতে ওই হামলার জবাব তেল আবিবে হামলার মাধ্যমে দেওয়া হবে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। প্রথমে আকাশ পথে হামলা হলেও, পরে দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলি বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তখন থেকে হিজবুল্লাহ একদিনে সবচেয়ে বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর। সেদিন ইসরায়েলে ৩৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল।