পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকেরা। কারাগার থেকে দলের নেতার ডাকা বিক্ষোভে সাড়া দিয়ে রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে রওনা দিয়েছে পিটিআইয়ের হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক। এমন পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, পিটিআই সমর্থকদের ঠেকাতে ইসলামাবাদে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানী ইসলামাবাদজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়েছে। পিটিআই সমর্থকদের ঠেকাতে রাজধানীর সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
‘ডি চৌক’ এলাকায় অর্থাৎ রাজধানীর প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশের সঙ্গে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।
ইসলামাবাদে দুই মাসের জন্য পাঁচ বা তার অধিক মানুষের সমাবেশ নিষিদ্ধ বা ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাময়িকভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে সরকার। বৈশ্বিক ইন্টারনেট নজরদারি সংস্থা নেটব্লকস এক্স-এ জানিয়েছে, বিক্ষোভের আগে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজিং সেবাও নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।
পিটিআই নেতা ও খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুরের নেতৃত্বে সমর্থকেরা রাজধানীর দিকে রওনা হয়েছেন। তাদের বহরে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খান একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হন। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদসহ বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ইমরান খানের দল এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছে।
২০২৩ সালের মে মাসে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন ইমরান। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। পিটিআইয়ের দাবি, মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দলের নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় এর আগেও দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে পিটিআই সমর্থকেরা।