এই সরকারের সব সংস্কার করার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তারেক রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ নেই। এ নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই সরকারের সবকিছু সংস্কার করার দরকার নেই। নিত্যদিনের দুর্দশা দূর করতে না পারলে সংস্কার সফল হবে না। সংস্কার আগে, নাকি নির্বাচন আগে—এমন প্রশ্ন তুলে কেউ কেউ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু বিএনপি মনে করে, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া।’
সাবেক স্বৈরাচারের পুনর্বাসন ঠেকাতে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করার উচিত।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচনে শুধু রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করা যাবে না বরং স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত রাখতে হলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষমতাসীনদের জনগণের কাছে যত জবাবদিহিতা থাকবে ততই সুন্দর রাষ্ট্র হবে।’
তিনি আরও বলেন, 'প্রতিটি নাগরিকের বৈষম্যহীন ভোটাধিকার নিশ্চিত করা উচিত, যা গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করবে।'
সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতার গুরুত্ব তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, 'ভিন্নমত থাকতে পারে, তবে সাংবাদিকতা যদি দলাদলিতে পরিণত হয়, তাহলে তার পরিণতি সবাইকে দেড় দশকে দেখানো হয়েছে।'
আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্রের শত্রু উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে, তবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে ষড়যন্ত্র চলছে। পতিত সরকার কৌশলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়, তবে সবাই সতর্ক থাকলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারবে না।'
তারেক রহমান আরও বলেন, 'পলাতক স্বৈরাচারের নির্দেশে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী হতাহত হয়েছেন। তাই ফ্যাসিস্টদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করতে পারে এমন ব্যক্তিদের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।' তিনি জানান, 'যদি জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পায়, তারা সেই সরকারকে বিচার করবে।'
তিনি বলেন, 'স্বৈরাচারের কবল থেকে রাষ্ট্রকে মুক্ত করতে নাগরিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভোট ছাড়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকার মানসিকতা দূর করতে হবে।'