নভেম্বর মাস এখনও ফুরোয়নি, কিন্তু ডেঙ্গুর কারণে চলতি বছরে এক মাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু এরই মধ্যে হয়ে গেছে। যা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকরা জানালেন, এ বছর ডেন-২ ধরণে আক্রান্তের হার ৭০ শতাংশ। যে ক্ষেত্রে রোগী প্রথমে টেরই পাচ্ছে না, তার ডেঙ্গু হয়েছে। কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে যাচ্ছে। শক সিনড্রমে প্রাণহানিও ঘটছে। তাই অসুস্থ বোধ করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বললেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সতর্ক থাকার পাশাপাশি সেবা ব্যবস্থাপনা উন্নত করা ও মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদও দিলেন।
ডেঙ্গুতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। আক্রান্ত ও মৃত্যু দুই সূচকই ইঙ্গিত দিচ্ছে, অক্টোবরের থেকেও নাজুক নভেম্বরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তের বিপরীতে দেশে ক্রমেই বাড়ছে মৃত্যুহার। চিকিৎসাধীন প্রতি হাজার রোগীর বিপরীতে ২০২১ সালে মৃত্যুহার ছিলো ৩ দশমিক ছয় নয় শতাংশ। ২০২২ সালে ৪ দশমিক পাঁচ শুন্য শতাংশ। ২০২৩ সালে ৫ দশমিক তিন এক শতাংশ। আর এবছর এরই মধ্যে ৫ দশমিক দুই নয় শতাংশ ছাড়িয়েছে ।
চিকিৎসকরা বলছেন, শক সিমড্রোম এর কারণে শরীরের একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ায় প্রাণহানি বেশি হচ্ছে। যাদের বেশিরভাগের অবস্থা খারাপ হয়ে যায় জ্বর হওয়ার ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে। এটাই ডেন-২ সেরোটাইপের বৈশিষ্ট্য। জ্বর না থাকলেও শরীরে ভাইরাস সক্রিয় থাকে। রোগীরা যা বুঝতে পারে না।
জনস্বাস্থ্যবিদরা জানান, শহরের গন্ডি পেরিয়ে সারাদেশে পৌঁছে গেছে এডিস মশার বিচরণ। তাই সব জায়গায় চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজলভ্য করা জরুরি। সেই সঙ্গে বছরজুড়ে করতে হবে মশা দমন।
একজন ব্যক্তি একাধিকবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। প্রত্যেক পুনঃসংক্রমণ আগেরবারের তুলনায় বেশি বিপজ্জনক। তাই সতর্কতাই পরিত্রাণের সর্বোত্তম উপায় বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।