ধীরে ধীরে কী তাঁরা প্রেমে সিলমোহর দিচ্ছেন? বিনোদন দুনিয়ায় বহুদিন ধরেই তাঁদের সম্পর্কের জল্পনা ছিল। কখনোই এ নিয়ে মুখ খোলেননি বিজয় দেবেরাকোন্ডা (Vijay Deverakonda) ও রশ্মিকা মন্দানা (Rashmika Mandanna)। তবে এবার কি তাঁরা সেই প্রেমের সম্পর্কের গুঞ্জনে সিলমোহর দিতে তৈরি? সম্প্রতি খোলা আকাশের নীচে, একটি রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়া করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। আর সেখানেই তাঁদের ক্যামেরাবন্দি করেছেন এক অনুরাগী।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিজয়ের পোশাকের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে পোশাক পরেছেন রশ্মিকা। চলছে খাওয়া দাওয়া সঙ্গে গল্পগুজবও। বিজয়ের পরনে সাদা টিশার্টের উপরে নীল রঙের বোতাম খোলা শার্ট। মাথায় টুপি। অন্য দিকে রশ্মিকার পরনে নীল রঙের ক্রপ টপ ও ডেনিম প্যান্ট। অনুরাগীরা মনে করছেন, বিশেষ মুহূর্ত শেয়ার করে নেওয়ার জন্যই এমন করে পোশাকে রঙমিলান্তি করেছেন তাঁরা। সামনে ভাল ভাল খাবার সাজানো। সেখানেই চলছে দুপুরের খাওয়া দাওয়া।
এর আগেও, ছবিশিকারীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন তাঁরা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কখনও ছবি শেয়ার করে নেননি তাঁরা। কিন্তু কোনোভাবেই নেটাগরিকদের চোখকে ফাঁকি দিতে পারেননি তাঁরা। প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে যে তাঁরা একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছেন। আবার কখনও নিজেই বিজয় দেবেরাকোন্ডার টিশার্ট পরে ক্যামেরার সামনে এসে মুচকি হেসেছেন রশ্মিকা। কিন্তু মুখ ফুটে সম্পর্কের কথা বলেননি। আর এবার মধ্যাহ্নভোজে গিয়েছিলেন তাঁরা। আশেপাশে অনুরাগীরা থাকলেও তাঁদের তোয়াক্কা করেননি রশ্মিকা ও বিজয়। দুজনেই মগ্ন ছিলেন দুজনেই।
আগামীকে রশ্মিকাকে দেখা যাবে 'পুষ্পা ২'-তে। সদ্য এই ছবির প্রচারেই পাটনা গিয়েছিলেন রশ্মিকা। আর সেখানেই শুরু হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। এদিন গাঁধী ময়দানে আয়োজন করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের। হাজির ছিলেন রশ্মিকা, অল্লু অর্জুনেরা। আর ছিলেন ১০ হাজারেরও বেশি অনুরাগী। একটা সময়ের পরে হাতের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। অনুরাগীরা চিৎকার, চেঁচামেচি করছিল। ব্যারিকেড ভেঙে মঞ্চের কাছে, তারকাদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছিল। সূত্রের খবর, ভিড় সামলাতে অল্পবিস্তর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তবে কেউ তাতে আহত হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
সংবাদসংস্থা ANI সূত্রে খবর, অনুরাগীরা অল্লু অর্জুন ও রশ্মিকা মন্দানাকে দেখার জন্য আশেপাশের বিভিন্ন স্ট্রাকচার বেয়ে উঠে পড়েছিলেন অনুরাগীরা। ভিড় এতটাই হয়ে গিয়েছিল যে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য এখানে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীও। কিন্তু তার পরেও হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল পরিস্থিতি। সেই কারণেই লাঠিচার্জ করে পুলিশ।