বিপ্লব নয়, রক্তপাত চায় দুর্বৃত্তরা: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৫:১৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
- / ৪০২ বার পড়া হয়েছে
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, বিপ্লব নয়, রক্তপাত চায় দুর্বৃত্তরা।
আজ মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরানের দলের সমর্থকদের কর্মকাণ্ডকে উগ্রবাদী কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। পিটিআইর সমর্থকদের হামলায় চার রেঞ্জার কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বলেন, রাজনৈতিক লাভের জন্য পাকিস্তানে কোনো ধরনের হিংসা বা রক্তপাত সহ্য করা হবে না।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, শ্রীনগর মহাসড়কে বিক্ষোভকারীরা রেঞ্জার্স কর্মীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দিলে পাঁচজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে চারজন প্যারাট্রুপার ও একজন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন। হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ প্যারাট্রুপার ও দুই পুলিশ সদস্য।
এ ঘটনার পর ইসলামাবাদে সংবিধানের ২৪৫ ধারা সক্রিয় করে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি অশান্ত করার যেকোনো চেষ্টা ও জঙ্গি তৎপরতা কঠোর হাতে দমন করার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্র জিও নিউজকে জানিয়েছে, পাঁচটি মরদেহ এরই মধ্যে স্থানীয় পিআইএমএস হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ইসলামাবাদের ডি চকে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)। তাদের জমায়েত ঠেকাতে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করেছে শাহবাজ শরিফের সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজধানীতে প্রবেশের সকল পথ। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সকল সভা–সমাবেশ এবং ‘দেখামাত্র গুলি’ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে ৪ হাজারের বেশি পিটিআই নেতাকর্মীকে আটক করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। পাঞ্জাব প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা কর্মকর্তা শাহিদ নওয়াজ জানান, আটকদের মধ্যে পাঁচজন পার্লামেন্ট সদস্যও রয়েছেন।
২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খান একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হন। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদসহ বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ইমরান খানের দল এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছে।
২০২৩ সালের মে মাসে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন ইমরান। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। পিটিআইয়ের দাবি, মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দলের নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় এর আগেও দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে পিটিআই সমর্থকেরা।