ঢাকা ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ১ হাজার কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ১ হাজার কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি তাঁর ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্যও পেয়েছেন অনুসন্ধানকারীরা। শুধু জাহিদ মালেক নন, আওয়ামী লীগ সরকারের এমন ২৪ এমপি-মন্ত্রীর দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ এখন দুদকের হাতে।

শুধু অবৈধ সম্পদই নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য-প্রমাণও মিলছে অনুসন্ধানে। টিআইবির তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে পাচার হয় বেশিরভাগ টাকা।

৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ২০০ এমপি ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। যার মধ্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দুর্নীতির ফিরিস্তি সবচেয়ে লম্বা। এককভাবে ১ হাজার কোটি পাচারের তথ্য-প্রমাণ তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া দেশেও রয়েছে তাঁর প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ।

দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘অনুসন্ধানী দল এ বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে। এরপর তারা কমিশনের নিকট সেগুলো দাখিল করবেন। কমিশনের অনুমতিক্রমেই পরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ছাড়া সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাদ্য, বিশেষ করে গম আমদানির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের তথ্যও রয়েছে দুদকের কাছে।

কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আক্তার হোসেন বলেন, ‘এটা নির্ভর করে অভিযোগের ধরনের ওপর। যদি আর্থিক অনুসন্ধান সংক্রান্ত বিষয়ে থাকে, ব্যাংকিং ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়, এমনকি স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ সংক্রান্ত কোনো বিষয়, যেগুলোর সাথে ব্যাংকিং ডকুমেন্টসের প্রয়োজন রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়।’

দুদক সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা সরকারের অন্তত ২৪ জন প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রীর অবৈধ সম্পদদের অনুসন্ধানের কাজ শেষ পর্যায়ে। যার মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা করেছে দুদক।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ১ হাজার কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

আপডেট সময় : ০১:১৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ১ হাজার কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি তাঁর ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্যও পেয়েছেন অনুসন্ধানকারীরা। শুধু জাহিদ মালেক নন, আওয়ামী লীগ সরকারের এমন ২৪ এমপি-মন্ত্রীর দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ এখন দুদকের হাতে।

শুধু অবৈধ সম্পদই নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য-প্রমাণও মিলছে অনুসন্ধানে। টিআইবির তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে পাচার হয় বেশিরভাগ টাকা।

৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ২০০ এমপি ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। যার মধ্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দুর্নীতির ফিরিস্তি সবচেয়ে লম্বা। এককভাবে ১ হাজার কোটি পাচারের তথ্য-প্রমাণ তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া দেশেও রয়েছে তাঁর প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ।

দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘অনুসন্ধানী দল এ বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে। এরপর তারা কমিশনের নিকট সেগুলো দাখিল করবেন। কমিশনের অনুমতিক্রমেই পরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ছাড়া সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাদ্য, বিশেষ করে গম আমদানির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের তথ্যও রয়েছে দুদকের কাছে।

কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আক্তার হোসেন বলেন, ‘এটা নির্ভর করে অভিযোগের ধরনের ওপর। যদি আর্থিক অনুসন্ধান সংক্রান্ত বিষয়ে থাকে, ব্যাংকিং ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়, এমনকি স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ সংক্রান্ত কোনো বিষয়, যেগুলোর সাথে ব্যাংকিং ডকুমেন্টসের প্রয়োজন রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়।’

দুদক সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা সরকারের অন্তত ২৪ জন প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রীর অবৈধ সম্পদদের অনুসন্ধানের কাজ শেষ পর্যায়ে। যার মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা করেছে দুদক।