পাকিস্তানে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ তাদের বিক্ষোভ সাময়িকভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। বুধবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে ডি চকে জড়ো হওয়া কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক ধরপাকড়ের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। বিশৃঙ্খলতা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী ইসলামাবাদ জুড়ে।
এক বিবৃতিতে পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেল জানিয়েছে, নিরস্ত্র জনগণকে হত্যার মাধ্যমে রাজধানীকে কসাইখানা বানানোর যে পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগোচ্ছে, তার জেরেই সাময়িকভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর ইসলাসাবাদ অভিমুখে রওনা দেন পিটিআইয়ের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। মঙ্গলবার তারা ইসলামাবাদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ডি-চকে এসে পৌঁছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্য আগে থেকেই রাজধানীতে সেনা মোতায়েন করেছিল সরকার। পিটিআইয়ের যে কোনো কর্মী-সমর্থককে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। ইসলামাবাদে পুলিশ ও পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সেল সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে পিটিআইয়েল নেতা কর্মীরা। এতে পুলিশ-রেঞ্জার্স এবং পিটিআইয়ের মোট ৭ জন নিহত হন।
তবে ইসলামাবাদের রেড জোন এবং ডি চকে পৌঁছানোর পর পুলিশ, রেঞ্জার্স এবং সেনা সদস্যদের হাতে ব্যাপক ধরপাকড়ের শিকার হন পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা। এই ধরপাকড়ের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান এই আন্দোলন কর্মসূচির শীর্ষ দুই নেতা খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপোর এবং ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি। পরে রাতে এক বার্তায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ জানান, ইসলামাবাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে পিটিআইয়ের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
তারপরই বিক্ষোভ-কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে বিবৃতি দেয় পিটিআইয়ের মিডিয়া সেল।