গত সপ্তাহেই স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন সুরকার এআর রহমান। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্বামী মার্ক হার্টসাচের সঙ্গে সংসার ঘটনার কথা সামনে এনেছিলেন রহমানের টিমের বেস গিটারিস্ট বাঙালি কন্যা মোহিনী দে। যার জেরে রীতিমতো ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।
এই দুই বিবাহবিচ্ছেদের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজতে শুরু করেন নেটিজেনরা। এমনকী তীব্র হয়ে ওঠে ভিত্তিহীন জল্পনাও। এবার সেই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন স্বয়ং মোহিনী। তিনি জানান যে, তাঁর কাছে রহমান একেবারে বাবার মতো!
এই বঙ্গললনার কথায়, “এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের আমি বাবার মতো দেখি। তাঁরা আমার জীবনের আদর্শ। আমি সত্যিই সৌভাগ্যবতী এবং কৃতজ্ঞ যে, তাঁরা আমার বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আর এঁদের মধ্যে এআর হলেন অন্যতম। এআর মানে আমি বলতে চাই এআর রহমানের কথা। আমি তাঁকে প্রচুর শ্রদ্ধা করি। উনি আমার বাবার মতো। তিনি আসলে বয়সে আমার বাবার থেকে একটু ছোট। আর আমার মনে হয়, ওঁর কন্যা আর আমিও সমবয়সী। আমাদের একে অপরের প্রতি রয়েছে অগাধ শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা।”
ওই ভিডিও-য় মোহিনী আরও বলেন, “প্রায় সাড়ে আট বছরের জন্য তাঁর ব্যান্ডে আমি তাঁর সঙ্গে বেসিস্ট হিসেবে কাজ করেছি। তবে পাঁচ বছর আগে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিলাম। সেখানে আমি অন্যান্য পপ-শিল্পীদের সঙ্গে যুক্ত। আমার নিজস্ব ব্যান্ড এবং নিজস্ব মিউজিক রয়েছে। আমি ট্যুরও করি। যাইহোক, বড় গল্প ছোট করে বললাম। দয়া করে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন। এটা একটা ব্যক্তিগত বিষয়, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া। তাই দয়া করে সদয় থাকুন।”
এখানেই শেষ নয়, এই ভিডিও-র সঙ্গে কড়া ভাষায় ক্যাপশনও দিয়েছেন এই বঙ্গ তনয়া। তিনি লিখেছেন, “আমার এবং এআর রহমানের বিষয়ে এই পরিমাণ ভুল তথ্য এবং ভিত্তিহীন জল্পনা ও দাবি দেখা একেবারেই অবিশ্বাস্য। সংবাদমাধ্যম যে এই দুটি ঘটনাকে অশ্লীল ভাবে প্রতিস্থাপন করছে, যা অত্যন্ত অপরাধজনক এবং ঘৃণ্য। সেই শিশুকাল থেকেই প্রায় সাড়ে আট বছর ধরে এআর রহমানের সঙ্গে তাঁর ছবি আর ট্যুরে কাজ করার সেই সময়টাকে আমি সম্মান করি।”
মোহিনী আরও লিখেছেন যে, “মানুষের মধ্যে কোনও শ্রদ্ধা-সম্মান আর সহানুভূতি নেই। আর এমন সংবেদনশীল বিষয়ে তাঁদের এহেন আচরণ দেখাটা অত্যন্ত হতাশাজনক। মানুষের ভাবনাচিন্তা দেখে আমি দুঃখ পেয়েছি। এআর রহমান একজন কিংবদন্তি। উনি আমার বাবার মতো! আমার জীবনে আদর্শ এবং বাবার মতো মানুষেরা আছেন। যাঁরা আমার কেরিয়ার এবং বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।”
এরপর বাবার মতো দেখেন, এমন কিছু মানুষের নামও নিয়েছেন মোহিনী। সেই সঙ্গে সকলকে সংবেদনশীল হওয়ার জন্য আবেদনও জানিয়েছেন ওই বঙ্গললনা।