পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি নিয়ে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেছে। পাক সরকার যতই চেষ্টা করুক, পিটিআই কর্মীরা ইতোমধ্যেই ইসলামাবাদের ডি-চক এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ইমরান খানের দলের বিক্ষোভ এবং আন্তর্জাতিক চাপের কারণে পাকিস্তান সেনা ইতোমধ্যেই নড়চড়ে বসেছে। ইমরান খান এবং তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে তিনটি গোপন বৈঠকও করে ফেলেছে তারা। এই বৈঠকগুলির পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ইমরান খানকে তাঁর বিরুদ্ধে চলা একমাত্র মামলায় আগামী দুই দিনের মধ্যে আদালত থেকে জামিন দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, পাক সেনাবাহিনী এই মুহূর্তে ইমরান খানের দলকে না কি সমর্থন করেছে। তাদের সাহায্যেই পিটিআই কর্মীরা ডি-চক পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। কিছু ভিডিওতে এমনও দেখা গিয়েছে যে, সেনা সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সহায়তা করছে। সেনাবাহিনী এত কিছুর বদলে শুধু একটা জিনিসই চায়৷ ইমরান খান জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য যেন না করেন।
ইমরান খানের দলকে রাস্তায় নেমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। তিনি জানেন, এই আন্দোলন ব্যর্থ হলে দলের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। তাই পিটিআই পুরো শক্তি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। এবং ইমরানকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক চাপের কারণে পাকিস্তান সেনা এই সময় এমন কোনও পদক্ষেপ নিতে চায় না যাতে তাদের সম্মানহানি হয়। এজন্য তারা পরিস্থিতি সামলাতে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছে।
গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, শেহবাজ শরিফ সরকার বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে পরাজিত হলে প্ল্যান বি রেডি করে রাখছে৷ সাধারণ মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে ভারতের ওপর বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করতে পারে। এই পরিস্থিতিতেও পাকিস্তান সেনাবাহিনীও লাভবান হবে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির প্রতিটি দিক বিবেচনা করে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী দুই দিনের মধ্যে ইমরান খান কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।