ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আমাদের লড়াই বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য: বিএনপি মহাসচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আমাদের লড়াই বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য। যেকোনও মূল্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানুষের স্বাধীনতা, ভোটের স্বাধীনতা, জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর‌।

আজ (বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের মেঘনা হলে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত ‘আক্রমণের মুখে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে ৫৩ বছর পরেও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর মিডিয়ার উপর আক্রমণের বিষয় নিয়ে আমাদের কথা বলতে হচ্ছে। আমি গত পরশুও বলেছি, তার আগে আমি স্টেটমেন্ট দিয়েছি, এটাকে আমরা নিন্দা জানাই ধিক্কার জানাই। আমরা মনে করি, আমাদের লড়াইটাই তো বাকস্বাধীনতার জন্য, লড়াইটাই তো গণতন্ত্রের জন্য। এই দীর্ঘ লড়াইয়ের মূল বিষয় হচ্ছে আমি আমার কথা বলতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার অধিকার প্রয়োগ করতে চাই। ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে চাই। এই বিষয়গুলো কিন্তু অত্যন্ত জরুরি বিষয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আজকে কিছু মানুষ জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিছু কথা বলা হচ্ছে, আমার কাছে মনে হচ্ছে, পুরোপুরি নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বন্ধ করা দরকার। না হলে যে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে আমাদের মানুষেরা প্রাণ দিয়েছে, এর সবটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে।’

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আমরা যারা লড়াই করেছি ১৯৭১ সালের যুদ্ধ থেকে আজ পর্যন্ত যতগুলো আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি গণতন্ত্রের জন্য। আন্দোলন করেছি আমরা দেশের একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু কাজ হয় যেটা বিরাজনৈতিকীকরণের দিকে নিয়ে যায়। এটা আমাদের সকলের সচেতনভাবে পরিহার করা দরকার।’

নির্বাচিত সরকার যে কারও থেকে ভালো উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার যেকোনও সরকারের চেয়ে ভালো, সে যেই হোক, যেই আসুক। কিন্তু আমি সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করবো বা ঠিক করে দেবো এভাবে ভাবতে আমি রাজি নই। চর্চা হোক, যেটা হয়নি গত ৫৩ বছর, সেই গণতন্ত্রের চর্চা হোক। চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।’

একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা বা একটা হঠকারিতার দিকে যাওয়া এই মুহূর্তে জাতির জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের লড়াই বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য: বিএনপি মহাসচিব

আপডেট সময় : ১১:৫১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

আমাদের লড়াই বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য। যেকোনও মূল্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানুষের স্বাধীনতা, ভোটের স্বাধীনতা, জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর‌।

আজ (বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের মেঘনা হলে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত ‘আক্রমণের মুখে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে ৫৩ বছর পরেও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর মিডিয়ার উপর আক্রমণের বিষয় নিয়ে আমাদের কথা বলতে হচ্ছে। আমি গত পরশুও বলেছি, তার আগে আমি স্টেটমেন্ট দিয়েছি, এটাকে আমরা নিন্দা জানাই ধিক্কার জানাই। আমরা মনে করি, আমাদের লড়াইটাই তো বাকস্বাধীনতার জন্য, লড়াইটাই তো গণতন্ত্রের জন্য। এই দীর্ঘ লড়াইয়ের মূল বিষয় হচ্ছে আমি আমার কথা বলতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার অধিকার প্রয়োগ করতে চাই। ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে চাই। এই বিষয়গুলো কিন্তু অত্যন্ত জরুরি বিষয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আজকে কিছু মানুষ জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিছু কথা বলা হচ্ছে, আমার কাছে মনে হচ্ছে, পুরোপুরি নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বন্ধ করা দরকার। না হলে যে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে আমাদের মানুষেরা প্রাণ দিয়েছে, এর সবটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে।’

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আমরা যারা লড়াই করেছি ১৯৭১ সালের যুদ্ধ থেকে আজ পর্যন্ত যতগুলো আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি গণতন্ত্রের জন্য। আন্দোলন করেছি আমরা দেশের একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু কাজ হয় যেটা বিরাজনৈতিকীকরণের দিকে নিয়ে যায়। এটা আমাদের সকলের সচেতনভাবে পরিহার করা দরকার।’

নির্বাচিত সরকার যে কারও থেকে ভালো উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার যেকোনও সরকারের চেয়ে ভালো, সে যেই হোক, যেই আসুক। কিন্তু আমি সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করবো বা ঠিক করে দেবো এভাবে ভাবতে আমি রাজি নই। চর্চা হোক, যেটা হয়নি গত ৫৩ বছর, সেই গণতন্ত্রের চর্চা হোক। চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।’

একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা বা একটা হঠকারিতার দিকে যাওয়া এই মুহূর্তে জাতির জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।