বউ মিলছে ভাড়ায়
- আপডেট সময় : ০৮:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার থাইল্যান্ড বিশ্বের একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র এবং সারা বিশ্বের পর্যটকরা এই দেশের সুন্দর সমুদ্র সৈকত দেখতে আসেন। সমুদ্র বেষ্টিত হওয়ায় এখানে সারা বছরই পর্যটকদের সমাগম ঘটে। এদেশের আয়ের প্রধান উৎসও পর্যটন এবং মানুষের জীবিকাও এর সঙ্গে অনেকাংশে যুক্ত। তবে এই দেশটি আরও কিছু কারণে আলোচিত। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ভাড়া স্ত্রীদের প্রথা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই অদ্ভুত প্রবণতার শিকড় রয়েছে থাইল্যান্ডের পাটায়ার ঐতিহ্যে। এখানে যে কেউ ভাড়ায় বউ নিতে পারে, একে ভাড়াটে স্ত্রী বলা হয়।
এটা এক ধরনের অস্থায়ী বিয়ে, যাতে টাকা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য মেয়েকে বউ করা যায়। মেয়েটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত স্ত্রীর সকল দায়িত্ব পালন করে। যদিও এই প্রথা এখন ব্যবসায় রূপ নিচ্ছে। জেনে নিন থাইল্যান্ডে ভাড়া স্ত্রীর দ্রুত ক্রমবর্ধমান প্রবণতা কী, এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
বিপুল সংখ্যক বিদেশী পর্যটক থাইল্যান্ডে আসেন। দেশের প্রত্যন্ত ও গ্রামাঞ্চলের মেয়েরা টাকার জন্য পর্যটকদের ভাড়াটে বউ হয়ে যান। এই ট্রেন্ডসেটাররা থাইল্যান্ডের পাটায়ার রেড লাইট এলাকা, বার এবং নাইট ক্লাব থেকে তাদের ব্যবসা চালায়। এটি থাইল্যান্ডে ব্যবসা হিসেবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। থাইল্যান্ডে ভাড়া স্ত্রীর একটি বিতর্কিত প্রথা রয়েছে। দরিদ্র প্রেক্ষাপটের মহিলারা অর্থ উপার্জনের জন্য বিদেশী পর্যটকদের স্ত্রী হিসাবে বসবাস শুরু করে। এই আয়োজন কোনো আনুষ্ঠানিক বিয়ে নয়। একটি অস্থায়ী চুক্তি কয়েক দিন থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময়ের জন্য করা হয়।
মহিলারা অর্থ উপার্জন ও পরিবারের ভরণপোষণের জন্য এ ধরনের কাজ করেন। এই মহিলারা প্রধানত বার বা নাইট ক্লাবে কাজ করে এবং যখন তারা আরও ভাল গ্রাহক পায় তখন তারা ভাড়া স্ত্রীতে পরিণত হয়। মহিলার বয়স, সৌন্দর্য, শিক্ষা এবং সময় অনুযায়ী ভাড়ার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। পরিমাণ ১৬০০ ডলার থেকে ১১৬০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। থাইল্যান্ডে এই প্রথা সংক্রান্ত কোনো আইন নেই।
এই প্রথা সম্প্রতি থাইল্যান্ডে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। যদিও এই ধরনের প্রথা জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও রয়েছে। থাইল্যান্ডে এর দ্রুত বৃদ্ধির অনেক কারণ রয়েছে। নগরায়ন ও কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে বাড়ছে মানুষের নিঃসঙ্গতা। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ স্থায়ী সম্পর্কের বদলে সাময়িক সম্পর্ককেই প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে। সম্পর্ক এবং স্বাধীনতার প্রতি নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে থাইল্যান্ডেও এই অনুশীলনটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
থাইল্যান্ড সরকারও বিশ্বাস করে যে দেশে ভাড়া স্ত্রীর প্রথা বিদ্যমান এবং পর্যটকদের কারণে এটি একটি ব্যবসায় রূপ নিয়েছে। সরকার মনে করে এই প্রথা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। তবে থাইল্যান্ডের বিষয়টা অন্যরকম আকার নিয়েছে। সেখানে বিষয়টি কার্যত দেহব্যবসার একটা নতুন রূপ নিয়েছে। পর্যটকরা এই ভাড়াটে স্ত্রীর সঙ্গে ইচ্ছামতো যৌনসুখ নিতে পারে। চুক্তি শেষ হয়ে গেলে দুজন একে অপরকে ছেড়ে যায়।