কফি তৈরি করে বিড়ালের বিষ্ঠা থেকে!
- আপডেট সময় : ১১:২৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
- / ৫০০ বার পড়া হয়েছে
মন খারাপের সময় কিংবা হিম হিম ঠান্ডায় এক কাপ গরম কফি প্রায়ই টনিকের মতো কাজ করে। চাঙ্গা করে তোলে ক্লান্ত মনকে। পৃথিবীতে এমন মানুষ খুব কমই আছে যারা কফি খেতে ভালোবাসে না। তবে সেই কফি যদি তৈরি হয় খাটাশ বিড়ালের বিষ্ঠা থেকে, তা হলে ঘটতে পারে বিপত্তি। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বিশ্বের নানা প্রান্তে এমনিভাবে কফি প্রস্তুত করে থাকে বিশ্বের নামিদামি অনেক কফি প্রতিষ্ঠান।
মন খারাপের এক বাদল দিনে কিংবা হিম হিম ঠান্ডায় একটু উষ্ণতার জন্য এক কাপ গরম কফি অনেকেরই ঔষধের মত কাজ করে। আবার অনেকেরই মন খারাপের ওষুধ কফি। দিনের শুরুতে বা কাজের শেষে, এক কাপ কফি যেন চাঙ্গা করে তোলে ক্লান্ত মনকে। পৃথিবীতে এমন মানুষ খুব কমই আছে যারা কফি খেতে ভালোবাসে না। ক্লান্তির দূরত্ব যত দীর্ঘই হোক না কেন, এক কাপ কফি আমাদের মন ভালো করে দেয়। অলস বিকেলটাতে কফির সাথে জুটি বেশ লাগে। একবার ভাবুনতো সেই কফিই কিনা তৈরি হয় বিড়ালের বিষ্ঠা থেকে।
‘সিভেট’ নামে ইন্দোনেশিয়ান এক স্তন্যপায়ী বিড়ালের বিষ্ঠা থেকে তৈরি কফি বিশ্বের অন্যতম দামি কফি হিসেবে পরিচিত। নাম ‘কোপী লুয়াক’। এই কফি গাছ থেকে তৈরি হয় না, তৈরি হয় বিড়ালের মল থেকে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্য। মূলত এই বিড়াল কফির বীজ খায়। যা বিড়ালের পেটে হজম হয় না। পরে সেই কফির দানা বিড়ালের মলের মাধ্যমে বেরিয়ে আসলে মানুষ তা সংগ্রহ করে ও পিষে তৈরি করে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি। যার ৫০০ গ্রামের মূল্য হতে পারে ৭০০ ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৮০ হাজার টাকার মত।
এই ‘কোপী লুয়াক’ বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশেই পাওয়া যায়। জায়গায় ভেদে এর দাম কেজি প্রতি লাখ টাকাও হতে পারে। বিড়ালের মলের মাধ্যমে বেরিয়ে আসা কফির দানাগুলি প্রক্রিয়াজাত ও সাধারণ পরীক্ষার পর প্যাকেটজাত করা হয়। সিভেট বিড়ালের পাচনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কারণে এটি পুষ্টিকর হয়ে ওঠে। আর এটিই এই কফির উচ্চ দামের মূল কারণ।
বর্তমানে ব্ল্যাক আইভরি কফিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলছে এই ধরনের কফি। হাতে আলাদা করা কফি চেরি খাওয়ার পর থাইল্যান্ডের হাতিদের বিষ্ঠা থেকে তৈরি হয় এই জাতের কফি। ব্লেক ডিঙ্কিন নামের একজন কানাডিয়ান আবিষ্কার করেছিলেন এই ব্ল্যাক আইভরি কফি। যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ গ্রাম পরিমাণ ব্ল্যাক আইভরি কফির মূল্য প্রায় ৮৫ ডলারের কাছাকাছি।