ফাঁদে পা দেয়া যাবে না: জামায়াতের আমির
- আপডেট সময় : ০৩:৫০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করতে উস্কানি দিচ্ছে। তবে সেই ফাঁদে কোনভাবেই পা দেয়া যাবে না। যতই ষড়যন্ত্র হোক তা ব্যর্থ করতে হবে।
রোববার সকালে খুলনার খান জাহান আলী থানা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
ইস্টার্ন জুট মিলস শ্রমিক ময়দানে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
ফ্যাসিস্ট সরকারের সমালোচনা করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে কারাগার বানিয়েছিলো। তাদের মতের ন্যূনতম বাইরে গেলে সাধারণ জনগণকে খুন, গুম, নির্যাতন ও জেল জুলুম দেয়া হতো।
তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া পতিত স্বৈরাচার বলেছিল তারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলে দুই দিনের ভেতরে ৫ লাখ মানুষকে খুন করা হবে। আল্লাহর মেহেরবানীতে তার কিছুই হয়নি। আমরা ৫ তারিখে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছিলাম শান্ত থাকুন, ধৈর্য ধরুন, প্রিয় দেশকে ভালবাসুন। আলহামদুলিল্লাহ সারা বাংলাদেশে বড় কোনো অঘটন ঘটেনি। এটা ছিটা-ফোটা যা ঘটেছে তার জন্য আমরা লজ্জিত। একেবারে স্বল্প, ওটাও না ঘটলে আরও ভালো হতো। দেশবাসী প্রমাণ করেছে আমরা এ দেশকে ভালোবাসি, এটা আমাদের দেশ।
তিনি আরও বলেন, সব জাতীয় ইস্যুতে জনগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্য প্রয়োজন। এ দেশ কারও একার নয়, দেশ সবার। দেশ এখনও পনের বছরের জঞ্জালমুক্ত হয়নি। তাই সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই। মর্যাদাশীল দেশ গড়ার কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পরনির্ভরশীল নয়, কৃষি ও শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে দেশ গড়া প্রয়োজন। প্রভু নয়, বন্ধু প্রতিবেশি রাষ্ট্র চাই।
আমিরে জামায়াত বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের দু’টি দেশপ্রেমিক সংস্থাকে ধংস করে। প্রথমেই তারা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এরপর জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়ে ও কারাগারে রেখে তিলে তিলে হত্যা করে। কিন্তু তাদের সে অত্যাচার-নির্যাতনের জবাব এদেশের শান্তিকামী ছাত্র-জনতা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দিয়েছে।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করতে উস্কানি দিচ্ছে। তবে সেই ফাঁদে কোনোভাবেই পা দেওয়া যাবে না। যতই ষড়যন্ত্র হোক তা ব্যর্থ করতে হবে। তিনি বলেন, দেশ এখনো জঞ্জাল ও স্বৈরাচারমুক্ত হযনি। তাই জাতীয় প্রয়োজনে জনগণের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
জামায়াতের আমির বলেন, দেশ এখনো জঞ্জাল ও স্বৈরাচার মুক্ত হয়নি। তাই জাতীয় প্রয়োজনে জনগণের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটোর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদ মামুনের পরিচালনায় এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।