ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দুই মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হবে ভোটার তালিকা : ইসি সানাউল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:০০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল সানাউল্লাহ বলেছেন, দুই মাসের মাসের মধ্যে ভোটার তালিকার খসড়া চূড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করা হবে।

সোমবার দুপুরে সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সভায় নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের লক্ষে আগামী মার্চ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, তহমিদা আহমদ ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, বাদ পড়া বিবেচনায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সময় লাগবে অন্তত ৬ মাস। আগামী বছরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এই হালনাগাদের কাজ শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই কমিশনার।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আগামী বছরের ২ মার্চের পর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হালনাগাদকৃত এসব ভোটার ২০২৬ সালে নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হবে।

এদিকে ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের সংগ্রহে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে আগামী জানুয়ারির ২ তারিখ থেকে মার্চের ২ তারিখের মধ্যে ভোটার তালিকার খসড়া ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সামরিকদের বলেন, নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের কাছে ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহে রয়েছে। এসব নাগরিক ১ জানুয়ারি এ ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে। এই ১৭ লাখ নাগরিকের মধ্যে ১৩ লাখের তথ্য নির্বাচন কমিশন ২২ সালে সংগ্রহ করেছিল। বাকি নাগরিকরা নিজেরা নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে পরিসংখ্যান বলে ৪৫ লাখের মতো নাগরিকের নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার কথা। সেই হিসেবে ২৭-২৮ লাখ নাগরিক নিবন্ধিত হননি কিন্তু তারা ভোটার হওয়ার যোগ্য।

তিনি বলেন, এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ বছরের হালনাগাদ ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবো। বাদ পড়া এসব নাগরিকসহ ২০২৬ সালে ভোটার হওয়ার উপযুক্ত হবেন এমন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একইসঙ্গে যে সব ভোটার মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করার জন্য তথ্য নেওয়া হবে।

এছাড়া দ্বৈত ভোটার বা অন্য কোনো জটিলতা আছে কিনা সে বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধ এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্যের ভিত্তিতে শতভাগ সঠিকতা নিশ্চিত করতে পারবো। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ছয় মাসের মতো সময় লাগবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হবে ভোটার তালিকা : ইসি সানাউল্লাহ

আপডেট সময় : ০৩:০০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল সানাউল্লাহ বলেছেন, দুই মাসের মাসের মধ্যে ভোটার তালিকার খসড়া চূড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করা হবে।

সোমবার দুপুরে সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সভায় নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের লক্ষে আগামী মার্চ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, তহমিদা আহমদ ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, বাদ পড়া বিবেচনায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সময় লাগবে অন্তত ৬ মাস। আগামী বছরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এই হালনাগাদের কাজ শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই কমিশনার।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আগামী বছরের ২ মার্চের পর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হালনাগাদকৃত এসব ভোটার ২০২৬ সালে নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হবে।

এদিকে ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের সংগ্রহে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে আগামী জানুয়ারির ২ তারিখ থেকে মার্চের ২ তারিখের মধ্যে ভোটার তালিকার খসড়া ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সামরিকদের বলেন, নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের কাছে ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহে রয়েছে। এসব নাগরিক ১ জানুয়ারি এ ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে। এই ১৭ লাখ নাগরিকের মধ্যে ১৩ লাখের তথ্য নির্বাচন কমিশন ২২ সালে সংগ্রহ করেছিল। বাকি নাগরিকরা নিজেরা নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে পরিসংখ্যান বলে ৪৫ লাখের মতো নাগরিকের নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার কথা। সেই হিসেবে ২৭-২৮ লাখ নাগরিক নিবন্ধিত হননি কিন্তু তারা ভোটার হওয়ার যোগ্য।

তিনি বলেন, এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ বছরের হালনাগাদ ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবো। বাদ পড়া এসব নাগরিকসহ ২০২৬ সালে ভোটার হওয়ার উপযুক্ত হবেন এমন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একইসঙ্গে যে সব ভোটার মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করার জন্য তথ্য নেওয়া হবে।

এছাড়া দ্বৈত ভোটার বা অন্য কোনো জটিলতা আছে কিনা সে বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধ এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্যের ভিত্তিতে শতভাগ সঠিকতা নিশ্চিত করতে পারবো। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ছয় মাসের মতো সময় লাগবে।