ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এক টেলিভিশন ভাষণে এ ঘোষণা দেন বলে সিএনএনের প্রতিবেদন বলা হয়েছে।

স্থানীয় সময় গভীর রাতে টিভিতে দেওয়া ভাষণে সামরিক আইন ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট। দেশটির প্রধান বিরোধী দলকে উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের জন্য অভিযুক্ত করেছেন তিনি।

জাতির উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি থেকে উদার দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করার জন্য এবং রাষ্ট্রবিরোধী উপাদানগুলোকে নির্মূল করার জন্য… আমি এতদ্বারা জরুরি সামরিক আইন ঘোষণা করছি।’

সামরিক আইন জারির প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জায়ে-মিউং বলেছেন, সামরিক আইনের ঘোষণা অসাংবিধানিক।

বিবিসি বলছে, যখন বেসামরিক কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে না তখনই জারি হয় সামরিক আইন। এর ফলে আইন প্রয়োগে প্রভাব পড়তে পারে। স্বাভাবিক নাগরিক অধিকার স্থগিতও করা হতে পারে।

ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থার মতে, যারা সামরিক আইন লঙ্ঘন করবেন তাদের ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করা যাবে। এ ছাড়া সকল গণমাধ্যম ও প্রকাশক সামরিক আইনের আদেশ ও কার্যক্রমের আওতায় থাকবেন। সংসদীয় কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একজন মুখপাত্র বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএসকে বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের সাথে যোগাযোগ করছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি

আপডেট সময় : ১১:২০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এক টেলিভিশন ভাষণে এ ঘোষণা দেন বলে সিএনএনের প্রতিবেদন বলা হয়েছে।

স্থানীয় সময় গভীর রাতে টিভিতে দেওয়া ভাষণে সামরিক আইন ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট। দেশটির প্রধান বিরোধী দলকে উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের জন্য অভিযুক্ত করেছেন তিনি।

জাতির উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি থেকে উদার দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করার জন্য এবং রাষ্ট্রবিরোধী উপাদানগুলোকে নির্মূল করার জন্য… আমি এতদ্বারা জরুরি সামরিক আইন ঘোষণা করছি।’

সামরিক আইন জারির প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জায়ে-মিউং বলেছেন, সামরিক আইনের ঘোষণা অসাংবিধানিক।

বিবিসি বলছে, যখন বেসামরিক কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে না তখনই জারি হয় সামরিক আইন। এর ফলে আইন প্রয়োগে প্রভাব পড়তে পারে। স্বাভাবিক নাগরিক অধিকার স্থগিতও করা হতে পারে।

ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থার মতে, যারা সামরিক আইন লঙ্ঘন করবেন তাদের ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করা যাবে। এ ছাড়া সকল গণমাধ্যম ও প্রকাশক সামরিক আইনের আদেশ ও কার্যক্রমের আওতায় থাকবেন। সংসদীয় কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একজন মুখপাত্র বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএসকে বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের সাথে যোগাযোগ করছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।