ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকে পড়েছে দেশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অর্থনীতির বাস্তব চিত্রের সঙ্গে উচ্চহারের প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানের মিল নেই। অথচ অলীক পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভর করে মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকে পড়েছে দেশ। অর্থনীতির শ্বেতপত্রের খসড়ায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। এ ফাঁদ এড়াতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কাঠামোগত পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।

অর্থনীতির অন্যান্য সূচকের সঙ্গে প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান মেলে না, এই অভিযোগ অর্থনীতিবিদেরা অনেক দিন ধরেই করে আসছেন। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটিও বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা সঠিক নয়।

মাথাপিছু জাতীয় আয় অনুসারে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয় ২০১৫ সালে। সে সময় জাতীয় মাথাপিছু আয় ১০৪৫ ডলার ছাড়িয়ে যায়। যা এখন ২৭৮৪ ডলার। আর ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।

বিশ্বব্যাংক ঢাকার সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন জানান, মধ্যম আয়ের ফাঁদ বলতে প্রায় ১ হাজার ১০০ থেকে ১৩ হাজার ডলারের মাথাপিছু আয়ের মধ্যে আটকে থাকার ঘটনাকে বোঝানো হয়েছে। নিম্ন আয় থেকে যত তাড়াতাড়ি নিম্ন মধ্যম আয়ে পৌঁছানো যায়, নিম্ন মধ্যম আয় থেকে উচ্চ মাথাপিছু আয়ের সক্ষমতায় তত তাড়াতাড়ি পৌঁছানো সম্ভব হয় না।

শ্বেতপত্র কমিটি বলছে, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এবং মজুরি কাঠামোকে নিম্ন আয়ের আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করা যায়। উচ্চ আয়ের দেশে পৌঁছাতে যে হাইটেক শিল্প প্রয়োজন সেগুলোর কিছুই হয়নি। দেশে রেমিট্যান্স আর পোশাক খাত দিয়ে উচ্চ আয়ের দেশ হওয়া সম্ভব নয়।

শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান কমিটি দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, পদ্মা সেতুসহ উন্নয়নের মানদণ্ড হিসেবে বড় বড় প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিলেও, টেকসই উন্নয়নে বিনিয়োগের গুরুত্বকে পাশ কাটিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকে পড়েছে দেশ

আপডেট সময় : ১১:৩০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

অর্থনীতির বাস্তব চিত্রের সঙ্গে উচ্চহারের প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানের মিল নেই। অথচ অলীক পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভর করে মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকে পড়েছে দেশ। অর্থনীতির শ্বেতপত্রের খসড়ায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। এ ফাঁদ এড়াতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কাঠামোগত পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।

অর্থনীতির অন্যান্য সূচকের সঙ্গে প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান মেলে না, এই অভিযোগ অর্থনীতিবিদেরা অনেক দিন ধরেই করে আসছেন। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটিও বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা সঠিক নয়।

মাথাপিছু জাতীয় আয় অনুসারে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয় ২০১৫ সালে। সে সময় জাতীয় মাথাপিছু আয় ১০৪৫ ডলার ছাড়িয়ে যায়। যা এখন ২৭৮৪ ডলার। আর ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।

বিশ্বব্যাংক ঢাকার সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন জানান, মধ্যম আয়ের ফাঁদ বলতে প্রায় ১ হাজার ১০০ থেকে ১৩ হাজার ডলারের মাথাপিছু আয়ের মধ্যে আটকে থাকার ঘটনাকে বোঝানো হয়েছে। নিম্ন আয় থেকে যত তাড়াতাড়ি নিম্ন মধ্যম আয়ে পৌঁছানো যায়, নিম্ন মধ্যম আয় থেকে উচ্চ মাথাপিছু আয়ের সক্ষমতায় তত তাড়াতাড়ি পৌঁছানো সম্ভব হয় না।

শ্বেতপত্র কমিটি বলছে, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এবং মজুরি কাঠামোকে নিম্ন আয়ের আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করা যায়। উচ্চ আয়ের দেশে পৌঁছাতে যে হাইটেক শিল্প প্রয়োজন সেগুলোর কিছুই হয়নি। দেশে রেমিট্যান্স আর পোশাক খাত দিয়ে উচ্চ আয়ের দেশ হওয়া সম্ভব নয়।

শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান কমিটি দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, পদ্মা সেতুসহ উন্নয়নের মানদণ্ড হিসেবে বড় বড় প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিলেও, টেকসই উন্নয়নে বিনিয়োগের গুরুত্বকে পাশ কাটিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার।