সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে ইরান-সমর্থিত ইরাকি যোদ্ধারা। সিরিয়ার আলেপ্পোর অধিকাংশই বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদকে সহায়তা করতে এই যোদ্ধারা সিরিয়ায় ঢুকেছে। সিরিয়া ও ইরাকের কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইরাকের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে বদর এবং নুজাবা গোষ্ঠীর অন্তত ৩০০ যোদ্ধা গত রোববার রাতে সীমান্ত ক্রসিং এড়িয়ে ট্রাকে করে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে।
সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘উত্তরের সম্মুখসারিতে আমাদের যোদ্ধাদের সহায়তা করার জন্য নতুন করে ইরাকি যোদ্ধাদের পাঠানো হচ্ছে। বিমান হামলা এড়াতে এই যোদ্ধারা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সিরিয়ায় পৌঁছেছে।’
এর আগে ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ইরান শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী পাঠিয়েছিল। রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় এই বাহিনী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদকে বিদ্রোহ দমনসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা পুনর্দখলে সহায়তা করেছিল।
২০২০ সাল থেকে সিরিয়ায় বিদ্রোহী ও সরকার দুই পক্ষই শান্ত ছিল। তবে গত ২৭ নভেম্বর থেকে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও এর অনুগত অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী নতুন করে হামলা শুরু করে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।
এদিকে সিরিয়া সরকার ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমান গতকাল সোমবার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে। উদ্বাস্তুদের একটি শিবিরেও হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে সরকারি বাহিনীর জানিয়েছে, তারা আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশের বেশ কয়েকটি শহর পুনরুদ্ধার করেছে।