পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরোধিতার মুখে সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। এ বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটের পর তিনি বলেন, সামরিক আইনের অবসান ঘটাতে পার্লামেন্টের অবস্থান তিনি মেনে নেবেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ আইন প্রত্যাহার করা হবে।
টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বলেন, পার্লামেন্টের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক আইন প্রত্যাহারের কথা সামরিক বাহিনীকে তিনি জানিয়েছেন।
পরে দেশটির সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসি বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রিসভা সামরিক আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। অবিলম্বে আগের আদেশ বাতিল হয়ে যাবে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল।
তিনি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘কমিউনিস্ট বাহিনীর’ হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় সেনাপ্রধান জেনারেল পার্ক আন-সুকে। দেশটিতে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়।
তবে আকস্মিকভাবে সামরিক শাসন জারির আদেশ মেনে নিতে পারেননি দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতারা। দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির পর দেশটির পার্লামেন্ট ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের দাবিতে তাদের স্লোগান দিতে শোনা যায়। একপর্যায়ে কিছু সময়ের জন্য পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন সেনাসদস্যরা। ভবনের ওপরে হেলিকপ্টার নামতেও দেখা যায়।
এই পরিস্থিতির মধ্যেও রাতেই নিরাপত্তা বাহিনীকে এড়িয়ে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে সক্ষম হন ১৯০ জন আইনপ্রণেতা। তাঁরা সামরিক আইন জারির বিরুদ্ধে ভোট দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টের ৩০০ সদস্যের মধ্যে বেশির ভাগ সদস্য চাইলে সামরিক আইন তুলে নেওয়া যাবে।