সৌদি আরবকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান নাহিদ ইসলামের
- আপডেট সময় : ১১:০৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
বর্তমান সরকার সৌদি আরবের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে আগ্রহী। তাই সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান সকল প্রকল্প অব্যাহত থাকবে। সৌদি আরবকে তথ্যপ্রযুক্তি খাত বিশেষ করে হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করে বলেন, দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে অন্তর্বর্তী সরকার সক্ষম হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। সৌদি সরকার বাংলাদেশের সাথে আছে ভবিষ্যতেও থাকবে এবং বাংলাদেশের যে কোন প্রয়োজনে সৌদি আরব পাশে থাকবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে প্রায় ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন বাংলাদেশি সৌদি আরবে কাজ করছে এবং দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তারা অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার এবং আনঅফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে আরও ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। সৌদি আরবে বসবাসরত ৬৯ হাজার অনিবন্ধিত ব্যক্তির পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়টি গুরুত্বসহ বিবেচনার জন্য তিনি উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন।
সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট নবায়নের কার্যক্রম দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করার বিষয়ে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন ।
রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়ে বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী। তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবনা পাওয়া গেলে সৌদি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিনিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৌদি আরব এবং রাজ পরিবার সম্পর্কে বিভ্রান্তকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হয় যা বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে উল্লেখ করলে উপদেষ্টা বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, শুধু সৌদি আরব নয়, পৃথিবীর কোন দেশ সম্পর্কে যেন বাংলাদেশের গণমাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচার না করা হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা মাধ্যমে সাক্ষাৎকার শেষ হয়।