ঢাকা ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

১০০ বছর ধরে দরজার ওপাশে কী লুকানো ছিল?

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গের হারিয়ে যাওয়া শতাব্দী প্রাচীন এক পথের সন্ধান মিলেছে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব স্কটল্যান্ডের নিচতলার একটি গোপন দরজা খুললেই দেখা মেলে হারানো সেই পথের। এই পথ এক সময় এডিনবার্গ শহরের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। এই পথের নাম লিবারটন’স উইন্ড, ১৮৩০ সালে জর্জ চতুর্থ ব্রিজ নির্মাণের সময় এটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে এই প্রাচীন পথটির কিছু অংশ এখনও রয়ে গেছে।

রাস্তাটি ব্রিজ ও লাইব্রেরি ভবনের মাঝে করিডোরের মতো। গোপন দরজা দিয়ে সেখানে প্রবেশ করা যায়। লাইব্রেরির কর্মীরা করিডোরটির নাম দিয়েছে ‘দ্য ভয়েড’। এটি সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে বিবিসি স্কটল্যান্ড নিউজ সেখানে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিল।

নব্বইয়ের দশকে লাইব্রেরির কর্মকর্তারা একটি ছোট হ্যাচ ভেঙে এর ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর সেখানে প্যাসাজ ও কক্ষ আবিষ্কার করেন, যা সম্ভবত ব্রিজের স্টোরেজ রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সেখান থেকে ১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো আসবাবসহ বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়।

লাইব্রেরির সাবেক পরিচালক বিল জ্যাকসন বলেন, ‘আবিষ্কৃত স্থানটি অন্ধকার, জলমগ্ন এবং কিছুটা ভীতিকর ছিল। তবে এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় লেগেছে।’

লিবারটন’স উইন্ড এক সময় ছিল একটি জনবহুল রাস্তা। এটি কওগেট থেকে রায়াল মাইলের লনমার্কেট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। জনবহুল ওই এলাকায় ছিল বিভিন্ন দোকান, তাবু, সেলসম্যান এবং শ্রমিকদের বসবাস। সবচেয়ে বিখ্যাত স্থানগুলোর মধ্যে ছিল জনি ডাউইয়ের ট্যাভার্ন, সেখানকার লেখক, শিল্পী এবং বিচারকরা যাতায়াত করতেন। এই ট্যাভার্নে রবার্ট ফার্গুসন ও রবার্ট বার্নসের মতো কবিরা এসেছিলেন।

ন্যাশনাল লাইব্রেরির ভেতরে থাকা ‘দ্য ভয়েড’ এলাকাটি শহরের এক পুরনো যুগের চিত্রপটে একটি বিরল স্থান। এখনও সেখানে প্রাচীন এডিনবার্গের অনেক স্মৃতি রয়েছে। লাইব্রেরির কর্মকর্তারা জানান, দ্য ভয়েডে প্রবেশ করা ছিল তাদের জীবনের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতাগুলোর একটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

১০০ বছর ধরে দরজার ওপাশে কী লুকানো ছিল?

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গের হারিয়ে যাওয়া শতাব্দী প্রাচীন এক পথের সন্ধান মিলেছে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব স্কটল্যান্ডের নিচতলার একটি গোপন দরজা খুললেই দেখা মেলে হারানো সেই পথের। এই পথ এক সময় এডিনবার্গ শহরের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। এই পথের নাম লিবারটন’স উইন্ড, ১৮৩০ সালে জর্জ চতুর্থ ব্রিজ নির্মাণের সময় এটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে এই প্রাচীন পথটির কিছু অংশ এখনও রয়ে গেছে।

রাস্তাটি ব্রিজ ও লাইব্রেরি ভবনের মাঝে করিডোরের মতো। গোপন দরজা দিয়ে সেখানে প্রবেশ করা যায়। লাইব্রেরির কর্মীরা করিডোরটির নাম দিয়েছে ‘দ্য ভয়েড’। এটি সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে বিবিসি স্কটল্যান্ড নিউজ সেখানে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিল।

নব্বইয়ের দশকে লাইব্রেরির কর্মকর্তারা একটি ছোট হ্যাচ ভেঙে এর ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর সেখানে প্যাসাজ ও কক্ষ আবিষ্কার করেন, যা সম্ভবত ব্রিজের স্টোরেজ রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সেখান থেকে ১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো আসবাবসহ বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়।

লাইব্রেরির সাবেক পরিচালক বিল জ্যাকসন বলেন, ‘আবিষ্কৃত স্থানটি অন্ধকার, জলমগ্ন এবং কিছুটা ভীতিকর ছিল। তবে এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় লেগেছে।’

লিবারটন’স উইন্ড এক সময় ছিল একটি জনবহুল রাস্তা। এটি কওগেট থেকে রায়াল মাইলের লনমার্কেট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। জনবহুল ওই এলাকায় ছিল বিভিন্ন দোকান, তাবু, সেলসম্যান এবং শ্রমিকদের বসবাস। সবচেয়ে বিখ্যাত স্থানগুলোর মধ্যে ছিল জনি ডাউইয়ের ট্যাভার্ন, সেখানকার লেখক, শিল্পী এবং বিচারকরা যাতায়াত করতেন। এই ট্যাভার্নে রবার্ট ফার্গুসন ও রবার্ট বার্নসের মতো কবিরা এসেছিলেন।

ন্যাশনাল লাইব্রেরির ভেতরে থাকা ‘দ্য ভয়েড’ এলাকাটি শহরের এক পুরনো যুগের চিত্রপটে একটি বিরল স্থান। এখনও সেখানে প্রাচীন এডিনবার্গের অনেক স্মৃতি রয়েছে। লাইব্রেরির কর্মকর্তারা জানান, দ্য ভয়েডে প্রবেশ করা ছিল তাদের জীবনের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতাগুলোর একটি।