ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে খালাস পেলেন মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

মামলার বিষয়ে মামুনের আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী জানান, ২০১৯ সালে এই মামলার ফরমায়েশি রায়ে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের সাজা, ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড এবং ৬ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬২ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন। এরইমধ্যে তিনি ওই সাজাও খেটেছেন। তবে স্বাধীন বিচারিক রায়ে ওই মামলায় তিনি আজ বেকসুর খালাস পেলেন। উচ্চ আদালত এই রায় দেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী নেদারল্যান্ডের একটি ঠিকাদারি কোম্পানির বাংলাদেশের এজেন্ট ছিলেন। ওই কোম্পানি রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পান। কিন্তু ২০০৩ সালে কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় গিয়াস উদ্দিন মামুন ওই কাজের বিপরীতে তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। নতুবা কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন। এরপর শাহজাদ আলী ২০০৪ সালে ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা মামুনের লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে জমা করেন।

এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন । এছাড়া ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে খালাস পেলেন মামুন

আপডেট সময় : ০৩:১৩:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

মামলার বিষয়ে মামুনের আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী জানান, ২০১৯ সালে এই মামলার ফরমায়েশি রায়ে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের সাজা, ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড এবং ৬ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬২ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন। এরইমধ্যে তিনি ওই সাজাও খেটেছেন। তবে স্বাধীন বিচারিক রায়ে ওই মামলায় তিনি আজ বেকসুর খালাস পেলেন। উচ্চ আদালত এই রায় দেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী নেদারল্যান্ডের একটি ঠিকাদারি কোম্পানির বাংলাদেশের এজেন্ট ছিলেন। ওই কোম্পানি রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পান। কিন্তু ২০০৩ সালে কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় গিয়াস উদ্দিন মামুন ওই কাজের বিপরীতে তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। নতুবা কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন। এরপর শাহজাদ আলী ২০০৪ সালে ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা মামুনের লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে জমা করেন।

এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন । এছাড়া ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।