বলিউড তারকা শাহরুখ, সলমনের মতো প্রথম সারির অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন মমতা কুলকার্নি। করণ-অর্জুন, বাজি, চায়না গেট সহ একাধিক কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন মমতা। কিন্তু কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন তিনি হঠাৎ করেই সিনেমা জগত ছেড়ে চলে যান।
একসময়ের বলিউডের সুন্দরী অভিনেত্রী এখন শুধুই একটি নাম। দীর্ঘদিন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে থাকার কারণে আজ মমতা একজন বেনামী অভিনেত্রীতে পরিণত হয়েছেন, যদিও এর পেছনের কারণ রয়েছে আরও ভয়ানক। ২০১৫ সালে মাদক পাচারের মামলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন মমতা। স্বামী ভিকি গোস্বামীর পাশাপাশি ২০০০ কোটি টাকার ড্রাগ মামলায় উঠে এসেছিল মমতার নাম।
মাদক মামলায় মমতাকে গ্রেফতার না করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে বারবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল। অবশেষে ২০১৬ সালে বোম্বে হাইকোর্ট সমস্ত অভিযোগ বাতিল করে দেন। দুর্ভাগ্যবশত ক্লিন চিট পেলেও মমতার বলিউড ইমেজকে যেভাবে কলঙ্কিত করেছিল এই ঘটনা, তা থেকে তিনি আজও নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি।
মুম্বই ফিরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন মমতা। মমতা বলেন, আমি সত্যিই অভিভূত এবং আবেগতাড়িত, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। গত ২৫ বছর ধরে আমার দেশকে আমি শুধু আকাশ থেকে দেখেছি, ২৫ বছর পর আমার দেশের মাটিতে আমি পা দিলাম। চোখে জল চলে আসে।
মমতার এই ভিডিও ইতিবাচক এবং নেতিবাচক কমেন্ট করতে দেখা যায় নেট দুনিয়ার বাসিন্দাদের। একজন লেখেন, ‘এবার বলিউডের কাস্টিং কাউচ বা নোংরা রাজনীতি নিয়ে কথাবার্তা শুরু করবেন না আশা করি’। অন্য একজন লিখেছেন, ‘সোমি আলির পথ অনুসরণ না করলেই ভালো হয়।’
কেউ কেউ আবার মমতার প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘অনেকদিন বাদে দেখলাম আপনাকে। খুব ভালো লাগছে।’ একজন লিখেছেন, ‘ওয়েলকাম ব্যাক মুম্বই। আপনাকে দেখে ভীষণ ভালো লাগছে।’
প্রসঙ্গত, আগামী জানুয়ারিতে ৩০ বছর পূর্ণ হওয়ার আনন্দে ‘করণ-অর্জুন’ সিনেমাটি পুনরায় সিনেমা হলে মুক্তি পায়। রাকেশ রোশন পরিচালিত এই সিনেমাটি গত ২২ নভেম্বর মুক্তি পায় সিনেমা হলে। অনেকেই মনে করছেন, করণ-অর্জুন সদস্যদের সঙ্গে পুনরায় দেখা করার জন্যই হয়তো মমতার দেশে ফেরা।