এক দল থেকে আরেক দলে ‘ডিগবাজি’ বন্ধে নীতিগত সিদ্ধান্ত
- আপডেট সময় : ১১:৫৩:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বিএনপি থেকে হঠাৎই আওয়ামী লীগে যোগ দেন শাহজাহান ওমর। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে জয়লাভ করেন। সে সময় তাঁর এই ডিগবাজি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে সারা দেশে।
এই ডিগবাজি বন্ধে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। কমিশন বলছে, এক দল থেকে আরেক দলে ডিগবাজি দিয়ে প্রার্থী হওয়ার পথ বন্ধে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে অন্তত তিন বছর দলের সদস্য পদ থাকার প্রস্তাব করা হচ্ছে।
পাশাপাশি, না ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করা, প্রবাসীদের ভোটের সুযোগসহ অন্তত ২০টি বিষয়ে সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে সংস্কার কমিশন।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতা যদি দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে আরেক দলে গিয়ে মনোনয়ন নেয় এতে করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাই বাদ পড়ে যায়। এই বিষয়টি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য ইতিবাচক নয়।’
নির্বাচনে অটো পাস বন্ধ করা, নারী আসনের সংখ্যা বাড়ানো, নির্বাচনী ব্যয় নিরীক্ষা, হলফনামার তথ্য যাচাই, প্রবাসীদের ভোটের সুযোগ, প্রার্থিতা বাতিলে ইসির ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করতে পারে সংস্কার কমিশন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘না ভোটের পক্ষে অনেক জনমত আছে। না ভোট থাকলে ২০১৪ সালের কলঙ্কজনক নির্বাচন হতো না। ১৫৩ জন বিনাভোটে নির্বাচিত হতে পারত না। না ভোট যদি আসে, তাহলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কারও নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকবে না।’
আরপিওতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এ নিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ড. শামসুল হুদার কমিশনের সময় এনিয়ে একটা অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, আমরা দেখেছি। সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় আনা—এসব বিষয় বিবেচনাধীন।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের সুপারিশগুলো চলতি মাসেই জমা দেওয়ার কথা।