জাতীয় ঐক্যের ডাক দেশের রাজনীতিতে বড় উদাহরণ
- আপডেট সময় : ১১:৫৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
ভারতীয় আগ্রাসনকে প্রতিহত করতেই মূলত জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস—এমনটাই অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তাঁরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে দিল্লির কাছে একটা কড়া বার্তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে যে, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বাংলাদেশের সবাই এক। এই উদ্যোগ দেশের রাজনীতিতে উদাহরণ হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন তাঁরা।
দেশে চলমান নানা ইস্যুতে সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এরই মধ্যে তিনি সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার এই উদ্যোগকে দেশের বুদ্ধিজীবী থেকে সাধারণ মানুষ সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক দলগুলো।
আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার এই নজির স্বাধীনতার পর এটিই প্রথম। যা দেশের মধ্যে বড় ঐক্য তৈরি করবে। তাছাড়া যাদের মধ্যে একটা গা-ছাড়া ভাব দেখা যাচ্ছিল তারাও গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় ফিরবে বলেও মত তাঁদের।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘এই আহবানের মধ্য দিয়ে প্রফেসর ইউনূস ইন্ডিয়াকে ক্লিয়ার মেসেজ দিয়েছে। আমি মনে করি, এর সঙ্গে জনগণও একমত। দিল্লির যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বাংলাদেশের মানুষ একমত এটা কিন্তু একটা স্ট্রং মেসেজ। এ ছাড়াও বাংলাদেশের স্টেক হোল্ডাররা কাছাকাছি হবে, একসাথে বসবে, নেগসিয়েট করতে শিখবে তবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
দেশের বুদ্ধিজীবী থেকে সাধারণ মানুষ সবাই এই ঐক্যের আহবানকে সাধুবাদ জানিয়েছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বলছেন, এটা সত্য আমাদের মধ্যে কোনো ঐক্য নেই। তাই আমাদের ঐক্য গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাইমুল আহসান খান বলেন, ‘আমরা যত কথাই বলি, আমাদের জাতীয় ঐক্য বলতে কিছুই নেই। ফলে এই জাতীয় ঐক্যের ডাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সার্বিক অবস্থা মোটেও ভাল না। ক্রমেই তা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ভারত যে আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে, আমরা যেকোনো সময় বিপদে পড়তে পারি। তবে এই ঐক্যবদ্ধতার আদর্শিক ভিত্তি শক্তিশালী না হলে কতদিন টিকবে সেটা বলা মুশকিল।’
এই ঐক্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।