ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সিরিয়ায় আরও এক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪১০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক গ্রুপের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দেরা শহরও এখন বিদ্রোহীদের দখলে। জর্ডান সীমান্তবর্তী এই শহরটি থেকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শুরু হয়েছিল। ২০১১ সালে স্কুলের দেয়ালে আসাদ-বিরোধী গ্রাফিতি লেখার জন্য একদল ছেলেকে আটক ও নির্যাতন করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়।

গত ২৭ নভেম্বর আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিরিয়ার বিদ্রোহী দল তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সরকারি বাহিনীর ওপর আকস্মিক হামলা শুরু করে। ঘটনার আকস্মিকতায় দৃশ্যত অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে সরকারি বাহিনী। বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখল করে নেয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার মধ্যাঞ্চলীয় হামা শহর থেকে পিছু হটে সরকারি বাহিনী।

এইচটিএস নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করাই তাঁদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। গতকাল তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্র এ কথা জানায়।

এএফপি জানায়, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে গত ১৩ বছরে ৫ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সিরিয়ার অর্ধেকেরও বেশি বাসিন্দা তাঁদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

২০১১ সালে সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ সহিংসভাবে দমন করা শুরু করে সরকার। এরপর শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ইরান শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী পাঠিয়েছিল। রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় এই বাহিনী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদকে বিদ্রোহ দমনসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা পুনর্দখলে সহায়তা করে। ২০২০ সাল থেকে সিরিয়ায় বিদ্রোহী ও সরকার দুই পক্ষই শান্ত ছিল। তবে গত ২৭ নভেম্বর থেকে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস ও এর অনুগত অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী নতুন করে হামলা শুরু করে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিরিয়ায় আরও এক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

আপডেট সময় : ১১:৪৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক গ্রুপের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দেরা শহরও এখন বিদ্রোহীদের দখলে। জর্ডান সীমান্তবর্তী এই শহরটি থেকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শুরু হয়েছিল। ২০১১ সালে স্কুলের দেয়ালে আসাদ-বিরোধী গ্রাফিতি লেখার জন্য একদল ছেলেকে আটক ও নির্যাতন করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়।

গত ২৭ নভেম্বর আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিরিয়ার বিদ্রোহী দল তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সরকারি বাহিনীর ওপর আকস্মিক হামলা শুরু করে। ঘটনার আকস্মিকতায় দৃশ্যত অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে সরকারি বাহিনী। বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখল করে নেয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার মধ্যাঞ্চলীয় হামা শহর থেকে পিছু হটে সরকারি বাহিনী।

এইচটিএস নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করাই তাঁদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। গতকাল তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্র এ কথা জানায়।

এএফপি জানায়, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে গত ১৩ বছরে ৫ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সিরিয়ার অর্ধেকেরও বেশি বাসিন্দা তাঁদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

২০১১ সালে সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ সহিংসভাবে দমন করা শুরু করে সরকার। এরপর শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ইরান শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী পাঠিয়েছিল। রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় এই বাহিনী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদকে বিদ্রোহ দমনসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা পুনর্দখলে সহায়তা করে। ২০২০ সাল থেকে সিরিয়ায় বিদ্রোহী ও সরকার দুই পক্ষই শান্ত ছিল। তবে গত ২৭ নভেম্বর থেকে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস ও এর অনুগত অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী নতুন করে হামলা শুরু করে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।