ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গোপন কারাগারের নিউক্লিয়াস ছিলেন শেখ হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিগত ১৬ বছর ধরে গোপন কারাগারে যত গুম, নির্যাতন ও খুনের ঘটনা ঘটেছে, তাতে সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে শেখ হাসিনার। তিনি গোপন কারাগারের নিউক্লিয়াস ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

এদিন ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আরও দুই মাস সময়ের আবেদন করেন তিনি। আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই গণহত্যার তদন্ত শেষ হতে একটি যুক্তিসঙ্গত সময় লাগবে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার চেষ্টা করছি।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করা হয়েছে, সেসবের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা নিয়েও জানতে চেয়েছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও তিন মাস তিনি দেশের মধ্যেই ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে বিদেশে চলে গেলেন, সেটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত।

তাজুল ইসলাম বলেন, যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গোপন কারাগারের নিউক্লিয়াস ছিলেন শেখ হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর

আপডেট সময় : ০৪:৫০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বিগত ১৬ বছর ধরে গোপন কারাগারে যত গুম, নির্যাতন ও খুনের ঘটনা ঘটেছে, তাতে সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে শেখ হাসিনার। তিনি গোপন কারাগারের নিউক্লিয়াস ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

এদিন ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আরও দুই মাস সময়ের আবেদন করেন তিনি। আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই গণহত্যার তদন্ত শেষ হতে একটি যুক্তিসঙ্গত সময় লাগবে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার চেষ্টা করছি।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করা হয়েছে, সেসবের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা নিয়েও জানতে চেয়েছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও তিন মাস তিনি দেশের মধ্যেই ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে বিদেশে চলে গেলেন, সেটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত।

তাজুল ইসলাম বলেন, যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।