ঢাকা ০২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের শঙ্কায় লিবারেল পার্টির শীর্ষ নেতার পদ থেকেও সরে যেতে হতে পারে তাকে। নিজ দলেই কোণঠাসা ৫২ বছর বয়সী এ নেতা। শপথের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দেখা করার কৌশলকেও ভুল বলছেন বহু বিশ্লেষক।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি আর অর্থনৈতিক নানা টানাপড়েনে গেলো দুই এক বছরে জনপ্রিয়তা হ্রাস পায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। দলেও কোণঠাসা হয়ে পড়েন, বিরোধীরা পদত্যাগের দাবি আগেই তুলেছিল, এবার নিজ দলের নেতারাই সরে যেতে বলছেন। এর আগেও তারা এমন দাবি জানান। তখন থেকে যান ট্রুডো। তবে সোমবার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করলে, ট্রুডোরও দায়িত্ব ছাড়ার দাবি জোরালো হয়।

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের হুমকি দিয়ে রেখেছেন। জানুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়ে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারেন। মেক্সিকোর মতো কানাডাকেও চাপে ফেলবেন ট্রাম্প। যা মিটমাট করতে যুক্তরাষ্ট্র ছুটে যান ট্রুডো। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি, বলছেন খোদ দীর্ঘদিনের মিত্ররা।

নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জোট শরিক ও নেতা জাগমিত সিং বলেন, ‘কথা পরিষ্কার। জাস্টিন ট্রুডো ও তার দল শুধু নিজেদের দেখছে। জনগণের কথা ভাবছে না। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে, বাসা ভাড়া কমানো যায়নি। এর মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশের শুল্ক ঝুঁকিতে আমরা, এর মানে লাখ লাখ মানুষ কাজে সংকটে পড়বে। তাই জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগ করতেই হবে।’

ইতোমধ্যে লিবারেল নেতা ডমিনিক লেব্লাঙ্ককে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রুডো।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য ২০২৫ সালের অক্টোবরে পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে নেয়া। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ।’

পুরো বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টেও উত্তেজনা বিরাজ করে। কনজারভেটিভ নেতা পিয়ার পলিয়েভ আবারও তুলে ধরেন কেন প্রধানমন্ত্রী থাকার অধিকার হারিয়েছেন এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় ট্রুডো।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে

আপডেট সময় : ০৪:৫২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের শঙ্কায় লিবারেল পার্টির শীর্ষ নেতার পদ থেকেও সরে যেতে হতে পারে তাকে। নিজ দলেই কোণঠাসা ৫২ বছর বয়সী এ নেতা। শপথের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দেখা করার কৌশলকেও ভুল বলছেন বহু বিশ্লেষক।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি আর অর্থনৈতিক নানা টানাপড়েনে গেলো দুই এক বছরে জনপ্রিয়তা হ্রাস পায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। দলেও কোণঠাসা হয়ে পড়েন, বিরোধীরা পদত্যাগের দাবি আগেই তুলেছিল, এবার নিজ দলের নেতারাই সরে যেতে বলছেন। এর আগেও তারা এমন দাবি জানান। তখন থেকে যান ট্রুডো। তবে সোমবার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করলে, ট্রুডোরও দায়িত্ব ছাড়ার দাবি জোরালো হয়।

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের হুমকি দিয়ে রেখেছেন। জানুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়ে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারেন। মেক্সিকোর মতো কানাডাকেও চাপে ফেলবেন ট্রাম্প। যা মিটমাট করতে যুক্তরাষ্ট্র ছুটে যান ট্রুডো। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি, বলছেন খোদ দীর্ঘদিনের মিত্ররা।

নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জোট শরিক ও নেতা জাগমিত সিং বলেন, ‘কথা পরিষ্কার। জাস্টিন ট্রুডো ও তার দল শুধু নিজেদের দেখছে। জনগণের কথা ভাবছে না। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে, বাসা ভাড়া কমানো যায়নি। এর মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশের শুল্ক ঝুঁকিতে আমরা, এর মানে লাখ লাখ মানুষ কাজে সংকটে পড়বে। তাই জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগ করতেই হবে।’

ইতোমধ্যে লিবারেল নেতা ডমিনিক লেব্লাঙ্ককে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রুডো।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য ২০২৫ সালের অক্টোবরে পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে নেয়া। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ।’

পুরো বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টেও উত্তেজনা বিরাজ করে। কনজারভেটিভ নেতা পিয়ার পলিয়েভ আবারও তুলে ধরেন কেন প্রধানমন্ত্রী থাকার অধিকার হারিয়েছেন এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় ট্রুডো।