ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
রাজধানীর কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা এবং তুরাগ নদীর দক্ষিণ ও পশ্চিম এলাকায় সব সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ: ডিএমপি :::: রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দু'পক্ষের সংঘর্ষরাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দু'পক্ষের সংঘর্ষ :::: বেনাপোল সীমান্তে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি বিএসএফের পিটুনিতে মৃত্যু

বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে দখলকে কেন্দ্র করে যোবায়েরপন্থী ও সাদপন্থীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। এছাড়া ইজতেমার মাঠ সাদপন্থীরা দখল করেছে দাবি করে ভিডিও বক্তব্য দিচ্ছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়, যা সকাল পর্যন্ত চলমান ছিল।

নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বাচ্চু মিয়া (৭০) এবং ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০)। আরেকজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের মধ্যে রয়েছেন আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান (৫৮), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), এবং আরও অনেকে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাদপন্থীরা রাত ৩টার দিকে তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় মাঠের ভেতরে থাকা যোবায়েরপন্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পাল্টা জবাবে সাদপন্থীরাও হামলা চালায়।

সংঘর্ষের একপর্যায়ে সাদপন্থীরা ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ইজতেমা মাঠে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

সাদপন্থীদের প্রভাবশালী মুরুব্বি মুয়াজ বিন নূর এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, “আমরা ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। যোবায়েরপন্থীদের আক্রমণে আমাদের তিন ভাই শহীদ হয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, সংঘর্ষ চলাকালীন কিছু যোবায়েরপন্থীকে চাকু ও ছোড়াসহ আটক করা হয়েছে।

টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র ব্রাদার হাফিজুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত এবং অসংখ্য আহত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, আহতদের হাসপাতালে আনার পথে বেলাল নামে একজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক আশরাফুল ইসলাম।

সকাল সোয়া ৬টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ৩

আপডেট সময় : ১১:৫৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে দখলকে কেন্দ্র করে যোবায়েরপন্থী ও সাদপন্থীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। এছাড়া ইজতেমার মাঠ সাদপন্থীরা দখল করেছে দাবি করে ভিডিও বক্তব্য দিচ্ছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়, যা সকাল পর্যন্ত চলমান ছিল।

নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বাচ্চু মিয়া (৭০) এবং ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০)। আরেকজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের মধ্যে রয়েছেন আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান (৫৮), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), এবং আরও অনেকে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাদপন্থীরা রাত ৩টার দিকে তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় মাঠের ভেতরে থাকা যোবায়েরপন্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পাল্টা জবাবে সাদপন্থীরাও হামলা চালায়।

সংঘর্ষের একপর্যায়ে সাদপন্থীরা ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ইজতেমা মাঠে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

সাদপন্থীদের প্রভাবশালী মুরুব্বি মুয়াজ বিন নূর এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, “আমরা ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। যোবায়েরপন্থীদের আক্রমণে আমাদের তিন ভাই শহীদ হয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, সংঘর্ষ চলাকালীন কিছু যোবায়েরপন্থীকে চাকু ও ছোড়াসহ আটক করা হয়েছে।

টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র ব্রাদার হাফিজুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত এবং অসংখ্য আহত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, আহতদের হাসপাতালে আনার পথে বেলাল নামে একজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক আশরাফুল ইসলাম।

সকাল সোয়া ৬টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।