মিয়ানমার থেকে দীর্ঘ ২৭ মাস পর কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে চালের একটি চালান পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ১৯ মেট্রিক টন চালভর্তি একটি নৌযান টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটিতে ভেড়ে।
এর আগে, সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি করা হয়েছিল। নতুন চালানটি আমদানি করেছে জিন্না অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনায় নিয়োজিত ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে আমদানি কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছিল। তবে সম্প্রতি চাল আমদানি পুনরায় শুরু হয়েছে।
চালবোঝাই নৌযানের মাঝি মো. জামাল জানান, চালগুলো মিয়ানমারের মংডু শহর থেকে আনা হয়েছে। আরাকান আর্মির তত্ত্বাবধানে ট্রলারটি চালবোঝাই করা হয়। চাল খালাস শেষে ট্রলারটি মংডুতে ফিরে যাবে।
সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন আতপ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন এই চাল সরবরাহ করবে। প্রতি টন চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১৫ মার্কিন ডলার। এতে ব্যয় হবে ৬১৮ কোটি টাকা।
এর পাশাপাশি ভারত থেকেও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে। মোট আমদানিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
সংঘাতের আগে মিয়ানমার থেকে প্রতি সপ্তাহে ৮-১৫টি নৌযান টেকনাফে আসত। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মাসিক মাত্র ৬-৭টি নৌযান পণ্য নিয়ে আসছে। নতুন এই চালানের মাধ্যমে টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি কার্যক্রম আরও সক্রিয় হওয়ার আশা করা হচ্ছে।