ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
রাজধানীর কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা এবং তুরাগ নদীর দক্ষিণ ও পশ্চিম এলাকায় সব সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ: ডিএমপি :::: রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দু'পক্ষের সংঘর্ষরাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দু'পক্ষের সংঘর্ষ :::: বেনাপোল সীমান্তে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি বিএসএফের পিটুনিতে মৃত্যু

থমথমে টঙ্গী, ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তাবলীগ জামাতের জুবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টঙ্গীতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ (বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এছাড়াও ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানসহ টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি র‍্যাব-পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার বিপুল সংখ্যক সদস্য ইজতেমা ময়দানের চারপাশে অবস্থান নিয়েছে।

এর আগে আজ (বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর) ভোর রাত থেকে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।

নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০) ও বগুড়ার তাজুল ইসলাম (৭০)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৩টার দিকে মাওলানা সাদপন্থিরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে থাকে।

এসময় ময়দানের ভেতর থেকে জোবায়েরপন্থিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবে সাদপন্থিরাও পাল্টা হামলা চালায়। এক পর্যায়ে সাদপন্থিরা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে বহু হতাহত হয়। পরে ভোরে ইজতেমা ময়দানের দখল ছেড়ে দেয় জোবায়ের অনুসারীরা।

মাওলানা জোবায়েরপন্থি তাবলীগ জামাত (শুয়ারী নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মাওলানা জোবায়েরকে চিঠি দেওয়া হয়।

ওই চিঠিতে জানানো হয়, বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দুপুর ১২টায় আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসবেন এবং বিশ্ব ইজতেমা মাঠের বিষয়ে সুন্দর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। ভোর রাত ৩টার দিকে আমরা খবর পাই সারা দেশ থেকে সাদপন্থি মুসল্লিরা টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশে বেলাল মসজিদে অবস্থান করছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের নতুন, পুরাতন সাথী জমা করে ধারালো অস্ত্রসহ তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন সড়ক দিয়ে ময়দানের বিদেশি গেট ভেঙে ময়দানের ভেতরে প্রবেশ করতে থাকে।

এ সময় ময়দানের ভেতর থেকে যোবায়েরপন্থি মুসল্লিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সাদপন্থিরা মাঠে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।’

এদিকে সকালে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি কামরার পাশে সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা সা’দ অনুসারী মুয়াজ বিন নুর জুবায়েরপন্থিদের উসকানিতে সংঘর্ষ হয়েছে বলে দাবি করে বলেন, ‘তাবলীগ শান্তিপ্রিয় ব্যক্তিদের সংগঠন। অনাকাঙ্ক্ষিত এই পরিস্থিতির দায়টা তারাই নিবে যারা শান্তিপ্রিয় মানুষদেরকে অশান্ত করে তুলছে। যার সংঘাতের উসকানি দিয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

থমথমে টঙ্গী, ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

আপডেট সময় : ০২:০০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

তাবলীগ জামাতের জুবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টঙ্গীতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ (বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এছাড়াও ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানসহ টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি র‍্যাব-পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার বিপুল সংখ্যক সদস্য ইজতেমা ময়দানের চারপাশে অবস্থান নিয়েছে।

এর আগে আজ (বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর) ভোর রাত থেকে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।

নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০) ও বগুড়ার তাজুল ইসলাম (৭০)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৩টার দিকে মাওলানা সাদপন্থিরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে থাকে।

এসময় ময়দানের ভেতর থেকে জোবায়েরপন্থিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবে সাদপন্থিরাও পাল্টা হামলা চালায়। এক পর্যায়ে সাদপন্থিরা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে বহু হতাহত হয়। পরে ভোরে ইজতেমা ময়দানের দখল ছেড়ে দেয় জোবায়ের অনুসারীরা।

মাওলানা জোবায়েরপন্থি তাবলীগ জামাত (শুয়ারী নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মাওলানা জোবায়েরকে চিঠি দেওয়া হয়।

ওই চিঠিতে জানানো হয়, বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দুপুর ১২টায় আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসবেন এবং বিশ্ব ইজতেমা মাঠের বিষয়ে সুন্দর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। ভোর রাত ৩টার দিকে আমরা খবর পাই সারা দেশ থেকে সাদপন্থি মুসল্লিরা টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশে বেলাল মসজিদে অবস্থান করছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের নতুন, পুরাতন সাথী জমা করে ধারালো অস্ত্রসহ তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন সড়ক দিয়ে ময়দানের বিদেশি গেট ভেঙে ময়দানের ভেতরে প্রবেশ করতে থাকে।

এ সময় ময়দানের ভেতর থেকে যোবায়েরপন্থি মুসল্লিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সাদপন্থিরা মাঠে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।’

এদিকে সকালে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি কামরার পাশে সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা সা’দ অনুসারী মুয়াজ বিন নুর জুবায়েরপন্থিদের উসকানিতে সংঘর্ষ হয়েছে বলে দাবি করে বলেন, ‘তাবলীগ শান্তিপ্রিয় ব্যক্তিদের সংগঠন। অনাকাঙ্ক্ষিত এই পরিস্থিতির দায়টা তারাই নিবে যারা শান্তিপ্রিয় মানুষদেরকে অশান্ত করে তুলছে। যার সংঘাতের উসকানি দিয়েছে।’